সাধারণ মানুষের তুলনায় এই মানুষের হাড়ের ঘনত্ব প্রায় ৮ গুণ বেশি। ছবি: সংগৃহীত
এম নাইট শাম্যালন পরিচালিত ‘আনব্রেকবল’ সিনেমাটার কথা মনে আছে? ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র ডেভিড একটি ভয়াবহ ট্রেনদুর্ঘটনায় বেঁচে যায়। সমস্ত যাত্রী মারা গেলেও, তার গায়ে আঁচড়টি লাগে না। কারণ তার হাড় এতই শক্ত, কোনও অবস্থাতেই ভাঙা সম্ভব নয়।
সিনেমার প্রয়োজনে এ ছিল নিছকই কল্পনা। কিন্তু এমন কল্পনাও চলে আসতে পারে বাস্তবের মাটিতে। হালে এমনই জানা গিয়েছে। ১৯৯৪ সালে এমন একজন ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়, যাঁর হাড়ের ঘনত্ব সাধারণ মানুষের তুলনায় ৮ গুণ বেশি। সেটিকে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু সম্প্রতি আমেরিকায় এমন এক পরিবার পাওয়া গিয়েছে, যাঁদের প্রত্যেকের হাড়ের ঘনত্ব সাধারণ মানুষের তুলনায় ৮ থেকে ১০ গুণ বেশি। কেন এমন হয়? বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর পিছনে রয়েছে জিনের ভূমিকা।
বড় দুর্ঘটনাতেও কোনও ক্ষতি নাও হতে পারে এই মানুষের।
হালে আমেরিকার ক্রেইটন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয় নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, একটি বিশেষ জিনের কারণে মানুষের হাড়ের ঘনত্ব এই বিপুল পরিমাণে বেড়ে যেতে পারে। এই বৈশিষ্ট্যটির কামকরণ করা হয়েছে ‘এলআরপি৫’।
এর ফলে কী কী হতে পারে, যা অন্য মানুষের হয় না? যাঁদের এই বৈশিষ্ট্য থাকে, তাঁদের হাড় সহজে ভাঙে না। ফলে দুর্ঘটনায় আর পাঁচজনের ক্ষতি হওয়ার যতটা আশঙ্কা থাকে, এই বৈশিষ্ট্যপূর্ণ মানুষের ক্ষেত্রে সেই আশঙ্কা অনেকটাই কম। এমনকি দেখা গিয়েছে, বড় গাড়ির ধাক্কাতেও তাঁদের তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি।