শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখবে যে খাবার। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে নানা রোগবালাই বাসা বাঁধতে শুরু করে। তাই সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু ঘন ঘন জল খাওয়ার অভ্যাস না থাকলে তেষ্টার আশায় বসে থাকতে হয়। তা ছাড়া অফিসে কাজের চাপে সব সময় জল খাওয়ার কথা মনেও থাকে না। সারা দিনে যে পরিমাণ জল খাওয়া জরুরি, সব সময় তা খাওয়া হয় না। ফলে শরীরে জলের পরিমাণ ক্রমশ কমতে থাকে। তাতে আর্দ্রতা হারায় শরীর। কিন্তু সুস্থ থাকতে যে ভাবেই হোক, শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখা জরুরি। জলের কোনও বিকল্প হয় না। তবু জল খাওয়ার কথা একান্ত ভুলে গেলে, ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি খাবারে।
দুধ
শুনতে অবাক লাগলেও শরীরে জলের অভাব পূরণ করতে পারে দুধ। তাই রোজ না হলেও সপ্তাহে ২-৩ দিন দুধ খেতে পারলে ভাল। দুধের মতো স্বাস্থ্যকর তরল খাবার খুব কমই আছে। তা ছাড়া দুধে ক্যালশিয়ামও রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। ফলে দুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে এক দিকে যেমন হাড়ের যত্ন নেওয়া হবে, তেমনই শরীরের জলের ঘাটতিও পূরণ হবে।
আপেল
শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এই ফল। আপেলে ৮৫ শতাংশ জল থাকে। ফলে সারা দিনে একটা আপেল খেলেও শরীরে জলের ঘাটতি খানিকটা পূরণ হয়। তা ছাড়া আপেল অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে। তাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে তো বটেই। সেই সঙ্গে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও আপেলের জু়ড়ি মেলা ভার।
খাবারের সঙ্গে প্রতি দিন যদি কয়েক টুকরো শসা খেতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
শসা
শসায় জলের পরিমাণ হল ৯৬ শতাংশ। খাবারের সঙ্গে প্রতি দিন যদি কয়েক টুকরো শসা খেতে পারেন, তা হলে সুফল পাবেন। নিয়মিত শসা খেলে শরীরে জলের পরিমাণ পর্যাপ্ত থাকে। জলের অভাবে যে রোগগুলি হয়, সেগুলির ঝুঁকি কমে। কিডনিতে পাথর জমার আশঙ্কাও কমে এর ফলে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলেও শসা খেলে সুফল পাবেন।