জ্বর মানেই কোভিড নয়, সাধারণ ওষুধে আস্থা রাখুন। ফাইল চিত্র।
এই সময়ে কী ভাবে রাখবেন শিশুদের তা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রদীপকুমার ভৌমিক।
• এই সময়ে শিশুদের বাড়িতে ‘কোয়রান্টিন’ রাখতে হবে। নির্দিষ্ট এক বা দু’জন শিশুর পরিচর্যা করবেন। শিশুকে বাড়ির বাইরে এইসময়ে বের করবেন না। তাদের থেকে যত সম্ভব সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখতে হবে। শিশুকে কোলে নিয়ে আদর বা চুম্বন করা একদমই চলবে না।
• শিশুর সর্দি-কাশি ও জ্বর হলে আতঙ্কিত না হয়ে নিকটবর্তী হাসপাতালে যেতে হবে। চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে চলতে হবে।
• শিশুর স্বাস্থ্য-সুরক্ষার ক্ষেত্রে বাড়তি নজর দিতেই হবে। শিশুদের সব সময় মাস্ক পরিয়ে রাখার প্রয়োজন নেই। তবে অবশ্যই হাত স্যানিটাইজ়ারে ধুয়ে দিতে হবে। যে কোনও সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করা যাবে। শিশু হাত যেন মুখে না দেয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে সকলকেই। শিশুদের খেলনাগুলি স্যানিটাইজ়ার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
• অবশ্যই শিশুদের খাওয়াতে হবে চামচে। হাত দিয়ে এই সময়ে খাইয়ে না দেওয়াটাই ভাল। শিশুদের ব্যবহারের সব কিছুই খুব ভাল করে স্যানিটাইজ়ারে পরিষ্কার রাখতে হবে।
• ভিটামিন সি জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো যেতে পারে। এছাড়াও ফলের রস এবং প্রচুর পরিমাণে জল এই সময়ে শিশুদের খাওয়ানো জরুরি। প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে। খিচুড়ি খাওয়ানো যেতে পারে।
• কোভিড-১৯ প্রতিরোধে অবশ্যই শিশু ও বয়স্কদের সব চেয়ে বেশি সাবধানে রাখতে হবে। যত বার সম্ভব হাত ধুয়ে ফেলা জরুরি। অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে যে শিশুদের হাত ধুতে নির্দিষ্ট সাবান প্রয়োজন। যে কোনও সাবান ও পরিষ্কার জলে হাত ধুয়ে দিন। প্রয়োজনে স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করুন। নজর রাখতে হবে শিশু যেন বাইরের কিছু মুখে না তোলে।