ওজন ঝরাতে ভূমি পরিশ্রম কম করেননি। ছবিঃ ফেসবুক।
বহু তারকার ওজন কমানোর কাহিনি ছ়ড়িয়ে রয়েছে বলিপাড়ার আনাচ-কানাচে। তবে কোনও অস্ত্রোপচার ছাড়াই ভূমি পেডেনকরের ৩২ কেজি ওজন কমানোর কাহিনি এখনও চর্চার কেন্দ্রে। একটি সাক্ষাৎকারে ভূমি জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন পুরস্কারের অনুষ্ঠানে দেখা হলে অনেক নায়িকাই তাঁর রোগা হওয়ার রহস্য জানতে চান। ওজন কমানোর জন্য তিনি কখনও পুষ্টিবিদের সাহায্য নেননি। শরীরচর্চা আর গতে বাঁধা ডায়েট ছাড়া আর কী কী রুটিন মেনে চলতেন ভূমি?
জীবন থেকে বাদ দেন চিনি
রোগা হওয়ার পথে অন্যতম বাধা হয়ে উঠতে পারে চিনি। তাই প্রথমেই জীবন থেকে বাদ দিলেন চিনি। শুনলে অনেকেরই অবাক লাগতে পারে, ভূমি চিনি না খেলেও ঘি, মাখন, ঘোল, সব কিছুই খেতেন। এই বিষয়টি অবশ্য পরে খোলসা করেন ভূমি। তিনি জানান, রোজ এক চামচ ঘি খেলেও ক্ষতি নেই। কিন্তু এক চিমটে চিনি ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।
ওজন কমানোর জন্য তিনি কখনও পুষ্টিবিদের সাহায্য নেননি। ছবিঃ ফেসবুক।
কার্ডিয়ো
শুধু ওজন ঝরানো ভূমির একমাত্র লক্ষ্য ছিল না। শরীরের একটি আলাদা গড়ন চেয়েছিলেন তিনি, সে কারণে মন দিয়েছিলেন ওজন তোলা আর কার্ডিয়োর উপর। ফিটনেস প্রশিক্ষকের পরামর্শ মেনে শরীরচর্চা তো করতেনই। সেই সঙ্গে সপ্তাহে দু’দিন কার্ডিয়ো করতেন তিনি।
রুটির উপর ভরসা রেখেছিলেন
রোগা হওয়া মানেই উপোস করে থাকা নয়। বরং সময় মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার উপরেই জোর দিয়েছিলেন। ভাত খেতেন না। কিন্তু ভূমির ডায়েটে থাকত রুটি। তবে গমের নয়। বাজরা, জোয়ার, রাগি দিয়ে তৈরি রুটি খেতেন তিনি। খাওয়ার আগে রুটির উপর হালকা মাখন মাখিয়ে নিন।
সব সময়ে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করতেন
পরিশ্রম করতে তিনি বরাবরই ভালবাসেন। তাই ওজন কমানোর জন্য আলাদা করে বাড়তি পরিশ্রম করতে হয়নি। সারা ক্ষণই দৌ়ড়ঝাঁপ করতেন তিনি। বেশি ক্ষণ এক জায়গায় বসতেন না। নিয়ম করে হাঁটাচলাও করতেন।
স্যালাড খেতেন প্রচুর পরিমাণে
ওজন ঝরানোর পর্বে ভূমি রোজের পাতে থাকত সবুজ শাকসব্জি। সকাল ৭টায় ঘুম থেকে উঠতেন। তার পর বিভিন্ন ধরনের শাকসব্জি দিয়ে বানানো স্যালাড খেতেন তিনি। সেই সঙ্গে থাকত আপেল, অ্যাভোকাডো, কালো আঙুরের মতো কিছু ফল। কাঠবাদাম, বেরি, খেজুর খেতেন নিয়ম করে।