কফির তেতো স্বাদ ভাল লাগে না? ছবি: সংগৃহীত।
দুধ, চিনি দিয়ে তৈরি করা ঘন কফি। তার উপর ঘন, সাদা ক্রিম দিয়ে আঁকা ভালবাসার চিহ্ন। দেখতে যেমন ভাল লাগে, খেতেও মন্দ লাগে না। কিন্তু নিয়মিত এমন ক্যাপুচিনো বা লাতে খাওয়া যে শরীরের জন্য খারাপ, তা জানেন। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও দুধ, চিনি ছাড়া কালো কফি খাওয়া অভ্যাস করেছেন। কাপে চুমুক দেওয়া মাত্রই মুখ বিকৃত হয়ে যাওয়া এই কফির স্বাদও বদলে দেওয়া যায়। তার জন্য বিশেষ কিছুই করতে হবে না। হেঁশেলের কয়েকটি উপাদান ব্যবহার করেই কাজ হাসিল করতে পারেন।
১) দারচিনি
চা তৈরিতে দারচিনির ব্যবহার বহু পুরনো। সেই টোটকাই ব্যবহার করতে পারেন কফিতে। শুধু স্বাদ নয়, কফিতে দারচিনি মেশালে তা শরীরের জন্যও উপকারী। দারচিনি এবং কফির মিশ্রণ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং প্রদাহ নাশ করতে সাহায্য করে।
২) ছোট এলাচ
দুধ, চিনি দেওয়া চায়ের স্বাদ এবং গন্ধে অন্য মাত্রা এনে দিতে পারে ছোট এলাচ। সেই একই মশলা কালো কফিতে মেশালে, তা কফির স্বাদও বাড়িয়ে তুলতে পারে। কফি খেলে অনেকেরই অম্বলের সমস্যা হয়। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই টোটকা দারুণ ভাবে কাজ করে। তা ছাড়া, রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে এই পানীয়।
৩) জায়ফল
কফির সঙ্গে জায়ফলের মিশ্রণ এই পানীয়কে এক অন্য মাত্রা দিতে পারে। তবে জায়ফলের গন্ধ উগ্র। তাই খুব অল্প পরিমাণে ব্যবহার করতে হয়। ঠান্ডার জায়গায় শরীরে উষ্ণতার ছোঁয়া দিতে কফির সঙ্গে জায়ফল মিশিয়ে খেতে পারেন।
কফির মধ্যে দু’ফোঁটা পিপারমেন্ট অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
৪) পুদিনা
কফির মধ্যে দু’ফোঁটা পিপারমেন্ট অয়েল মিশিয়ে নিলে, তা সারা দিনের ক্লান্তি দূর করতে পারে। এই অয়েল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। পরিমাণে বেশি হয়ে গেলেই কফির স্বাদ বদলে যেতে পারে।
৫) লঙ্কা গুঁড়ো
কফির সঙ্গে লঙ্কা গুঁড়ো মেশানোর কথা শুনে, যে কারও চোখ কপালে উঠতে পারে। তবে কফির স্বাদ বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি কাজের একঘেয়েমি কাটাতে, মন-মেজাজ তরতাজা করতে এই পানীয়ের জুড়ি মেলা ভার।