অম্বলে ভুগছেন? ছবি: সংগৃহীত।
খিদে না পেলেও অনেক সময়ে পছন্দের খাবার দেখলেই তার উপর হামলে পড়েন। ফলত পেটের সমস্যা, হজমের গন্ডগোল লেগেই থাকে। নিয়মিত অ্যান্টাসিড খেয়েও অনেক সময় কাজ হয় না। তাই প্রায় দিনই অফিস কামাই করতে হয়। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে সাধারণ বাড়ির খাবার খেয়েও অম্বল, চোঁয়া ঢেকুর কিংবা গলা-বুক জ্বালার মতো সমস্যা দেখা দেয়। সে ক্ষেত্রে কী করণীয়? চিকিৎসকেরা অনেক সময়েই বলেন, তাঁদের পরামর্শ ছাড়া নিজের মতে ওষুধ না খেতে। কিন্তু সাধারণ অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ খাওয়ার জন্য তো সময়-অসময়ে চিকিৎসকেদের বিরক্ত করা যায় না। সে ক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু টোটকায় ভরসা রাখা যেতে পারে। তাতে কাজ না হলে তখন না হয় চিকিৎসকের কাছে যাবেন।
গলা-বুক জ্বালার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে কী কী খেতে পারেন?
১) আদা
আদার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান খাবার হজম করতে সাহায্য করে। পাশপাশি, গলা-বুক জ্বালার মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কয়েক কুচি আদা চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তেল-মশলা যুক্ত খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়ে গেলে অনেকেই রাতে আদা চা খেয়ে ঘুমোতে যান।
২) অ্যালো ভেরা
সাধারণ বাড়ির খাবার খেয়েই হজমের সমস্যা হচ্ছে? খাবার আগে সামান্য পরিমাণে অ্যালো ভেরার রস ঈষদুষ্ণ জলে খেয়ে দেখতে পারেন। প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে অ্যালো ভেরার রস।
ক্যামোমাইল টি গলা-বুক জ্বালা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
৩) ক্যামোমাইল টি
স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমন করতে ক্যামোমাইল টি-এর জুড়ি মেলা ভার। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই পানীয়টি গলা-বুক জ্বালা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। রাতের খাবার খাওয়ার পর এই পানীয় খেতে পারলে যেমন অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর হবে, তেমন খাবার হজমও হবে।
৪) বেকিং সোডা
দোকান থেকে কেনা অ্যান্টাসিডের মতোই কাজ করে বেকিং সোডা। তবে এই বেকিং সোডা ব্যবহারের মাত্রা নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত। কারণ, এই উপাদানটি অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার করলে শরীরে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
৫) অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার
অনেকেই ভাবেন, অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার নিজেই অম্লধর্মী। সে আবার অম্লত্বের সমস্যা কী ভাবে দূর করবে? সকলের ক্ষেত্রেই যে এই ভিনিগার কাজ করবে, এমন নয়। তবে জলে সামান্য পরিমাণ অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে খেলে তা গলা-বুক জ্বালার সমস্যায় অনেকের ক্ষেত্রেই কাজ করে।