ভিনিগারের কামাল। ছবি: সংগৃহীত।
সারা বছর নানা কাজের মধ্যে ঘর পরিষ্কার করার দিকে খুব একটা মন দিতে পারেন না। কিন্তু দীপাবলির আগে ঘরের প্রতিটি জিনিসই পরিষ্কার করা বহু দিনের চল। কিন্তু জামাকাপড় কাচার গুঁড়ো সাবান দিয়ে তো আর সব কিছু পরিষ্কার করা যায় না। প্রতিটি জিনিস পরিষ্কারের জন্যে আলাদা সলিউশন কিনতে পাওয়া যায় বাজারে। তবে হাতের কাছে যদি এক বোতল ভিনিগার থাকে, তা হলে অনেক সমস্যারই সমাধান করা যায়।
ভিনিগার বাড়ির কোন কোন কাজে লাগে?
১) সাদা পোশাকের জন্য
মনের ভুলে সাদা পোশাকের সঙ্গে রঙিন পোশাক কাচতে দিয়ে দিয়েছেন। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। সাদা জামায় এমন ভাবে রং ধরে গিয়েছে যে, তা আর পরার মতো অবস্থায় নেই। সাবান কিংবা রং তোলার বিশেষ দ্রবণ দিয়েও সেই দাগ ওঠানো যাচ্ছে না। এমন সময়ে কাজে আসতে পারে ভিনিগার।
২) তোয়ালে নরম রাখতে
প্রতি দিন একই ভাবে তোয়ালে ব্যবহার করতে করতে ফ্যাব্রিক নষ্ট হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। সেই তোয়ালে তখন আর নতুন অবস্থার মতো কোমল থাকে না। খসখসে হয়ে যায়। পুরনো তোয়ালে আবার নরম করতে কাচার পর ভিনিগার এবং জলের দ্রবণে তোয়ালে ধুয়ে নিতে পারেন।
৩) কলের মুখ পরিষ্কার করতে
জলের মধ্যে থাকা আয়রন জমতে থাকে কল কিংবা শাওয়ারের মুখে। দীর্ঘ দিন ধরে তা জমতে জমতে শাওয়ার কিংবা কলের মুখ নষ্ট করে দেয়। জলের গতি কমতে থাকে। ভিনিগার কিন্তু এই সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে। সারা রাত ভিনিগারের দ্রবণে শাওয়ার কিংবা কলের মুখগুলি ডুবিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে ভাল করে মুছে নিয়ে ব্যবহার করুন।
সিঙ্ক পরিষ্কার করতে কাজে আসতে পারে ভিনিগার। ছবি: সংগৃহীত।
৪) সিঙ্ক পরিষ্কার করতে
হেঁশেলের নানা রকম উচ্ছিষ্ট কিংবা জলের মধ্যে থাকা আয়রন জমে বন্ধ হতে পারে সিঙ্কের মুখ। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভিনিগার এবং বেকিং সোডার মিশ্রণ ঢেলে দিন সিঙ্কে। আধঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৫) মাইক্রোওয়েভ পরিষ্কার করতে
খাবার গরম করতে গেলেও মাইক্রোওয়েভের ভিতরের দেওয়ালে তেল ছিটকে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলতে না পারলে পরে সেই দাগ তোলাও মুশকিল হয়ে যায়। তবে জল এবং ভিনিগারের দ্রবণ কিন্তু যে কোনও তেলের দাগ সহজেই তুলে ফেলতে পারে।