নানা রঙের সাজানো পাউডার আইশ্যাডো ভেঙে একেবারে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে গিয়েছে? ছবি: সংগৃহীত।
অতিমারির সময়ে ঘন ঘন সব কিছু স্যানিটাইজ় করতে হচ্ছিল। বার বার দোকান থেকে স্যানিটাইজ়ার কেনার ঝামেলা এড়াতে বেশ অনেকটা পরিমাণে রাবিং অ্যালকোহল কিনে রেখেছিলেন। তাই দিয়েই স্যানিটাইজ়ার তৈরি করে নিতেন। তবে এখন তো অতিমারির দাপট তেমন নেই। তাই বোতলগুলি পড়েই আছে। স্যানিটাইজ়ারের বদলে আর কোন কোন কাজে তা ব্যবহার করা যেতে পারে?
১) ক্ষতস্থান পরিষ্কার করতে
বাজারজাত জীবাণুনাশক দ্রবণ না কিনে বাড়িতেই তা তৈরি করে ফেলতে পারেন। একটি বোতলে অর্ধেক জল, বাকি অর্ধেক রাবিং অ্যালকোহল মিশিয়ে নিন। হাত-পায়ের কাটা অংশ পরিষ্কার করতে, স্যানিটাইজ়ার হিসেবে কিংবা মেঝে জীবাণুমুক্ত করতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
২) ডিয়োডোর্যান্ট তৈরি করতে
মাখতে গিয়ে দেখলেন ডিয়োডোর্যান্টের বোতল একেবারে ফাঁকা। বাড়িতে রাবিং অ্যালকোহল থাকলেই কাজ হবে। এই উপাদানের সঙ্গে পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে নিলেই তৈরি ‘ডিআইওয়াই’ ডিয়োডোর্যান্ট।
৩) ভেঙে যাওয়া প্রসাধনী জুড়তে
তাড়াহুড়োতে হাত থেকে আইশ্যাডো প্যালেট পড়ে গিয়েছে। নানা রঙের সাজানো পাউডার আইশ্যাডো ভেঙে একেবারে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে গিয়েছে। কয়েক ফোঁটা অ্যালকোহল দিলেই গুঁড়ো হয়ে যাওয়া আইশ্যাডো আবার আগের মতো হয়ে যাবে। দেখলে বুঝতেই পারবেন না প্রসাধনীটি আগে কী অবস্থায় ছিল। ব্লাশ, কম্প্যাক্ট বা প্রেস পাউডারের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
স্যানিটাইজ়ারের বদলে আর কোন কোন কাজে তা ব্যবহার করা যেতে পারে রাবিং অ্যালকোহল? ছবি: সংগৃহীত।
৪) বমি ভাব কাটাতে
ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই গা গুলোচ্ছে, বমি পাচ্ছে। কিছুই খেতে ইচ্ছে করছে না! কী থেকে এমনটা হচ্ছে তা বুঝে ওঠার আগে দুম করে ওষুধ খেয়ে ফেলা ঠিক হবে না। তা হলে কী করবেন? তুলোয় কয়েক ফোঁটা রাবিং অ্যালকোহল নিয়ে তার ঘ্রাণ নিতে পারেন।
৫) আইস প্যাক
খুব একটা প্রয়োজন হয় না বলে ফ্রিজের এক কোণে অবাঞ্ছিতের মতো আইস প্যাক পড়েই থাকে। খুব শক্ত, অমসৃণ আইস প্যাক আঘাত লাগা বা ক্ষত স্থানে চেপে ধরা বেশ কঠিন। জমা বরফ তো চট করে গলানো যাবে না। সামান্য রাবিং অ্যালকোহল আইস প্যাকের উপর ঘষলেই তা আবার আকারে ফিরে আসবে।