টাকা বাঁচাতে বুদ্ধি খরচ করুন। ছবি: শাটারস্টক।
মাসের শুরুতে দু’হাতে খরচ করলেও, মাসের শেষে অনেকের অ্যাকাউন্ট একেবারে খালি হয়ে যায়। টাকা-পয়সা খরচ করার হাত সকলের সমান হয় না। কারও খরচের হাত বেশি, কেউ আবার একটু বেশি সাশ্রয়ী।
যাঁরা খুব দ্রুত টাকা-পয়সা খরচ করে ফেলেন, মাসের শেষ আসতে না আসতেই পকেটে টানাটানি পড়ে যাওয়ার ঘটনা তাঁদের কাছে নতুন কিছু নয়। কেউ আবার অল্প বেতনেই সুন্দর ভাবে সংসার চালিয়ে ফেলতে পারেন।
সব খরচ কিন্তু সব সময় অপব্যয় হয় না। অনেক সময়ে বাজে খরচ এড়িয়ে চলার পরেও ফুরিয়ে যায় মাস মাইনের টাকা। রইল এমন পাঁচটি টোটকা, যা মেনে চললে মাস শেষ হওয়ার আগেই পকেট গড়ের মাঠ হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
১. বাইরের খাবারে রাশ টানুন: এখন মোবাইলের একটি স্পর্শেই প্রিয় রেস্তরাঁ থেকে বাড়ির দরজায় হাজির হয়ে যায় মনের মতো খাবার। আর সেই খাবার রোজ রোজ অর্ডার করতে গিয়েই খরচ বেড়ে যায় অনেকখানি। তার উপর মাঝেমধ্যেই থাকে নানা রকম ছাড়ের প্রলোভন। মাসে কয়েকটি দিন নির্দিষ্ট করুন বাইরের খাবারের জন্য। অতিথি এলেও বাইরের থেকে খাবার আনার বদলে বাড়িতেই খাবার বানিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। খরচ কমাতে এই ফন্দি কিন্তু বেশ কাজের।
২. ছাড়ের হাতছানিতে বেশি বাজার করার অভ্যাসে লাগাম টানুন: বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করার জন্য হরেক রকমের ছাড় দিয়ে থাকে। কিন্তু এই ধরনের ছাড়ের ফাঁদে পা দেওয়া চলবে না একেবারেই। অনলাইন কেনাকাটার যুগে নিত্যনতুন ছাড়ের টান উপেক্ষা করা সহজ নয়। কিন্তু এই ধরনের কেনাকাটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেলে নিজেকে নিযন্ত্রণ করা হয়ে ওঠে কঠিন। তা ছাড়া ছাড়ের লোভে আমরা এমন কিছু জিনিস কিনেও ফেলি, যা কিন্তু আদৌ আমাদের প্রয়োজন নয়।
৩. সহজে নয় ক্রেডিট কার্ড: ক্রেডিট কার্ড অনেকের কাছেই অতি প্রয়োজনীয় একটি বস্তু। কিন্তু প্রয়োজন ছাড়া এই কার্ড ব্যবহার করা অভ্যাস খারাপ করে দিতে পারে। ক্রেডিট কার্ড যত কম ব্যবহার করা যায় ততই ভাল। এটি প্রয়োজনের জিনিস হলেও ক্রেডিট কার্ডের বদলে সরাসরি টাকা খরচ করে কিছু কিনলে খামখেয়ালি কেনাকাটা কিছুটা হলেও কমে।
৪. ভ্রমণ হোক পরিকল্পনামাফিক: বেড়াতে যাওয়া মানেই খরচ। কিন্তু তাই বলে ভ্রমণকে উপেক্ষা করা বাঙালির পক্ষে অসম্ভব। তা ছাড়া জীবনের একঘেয়েমি দূর করতে ভ্রমণের প্রয়োজনও রয়েছে। বরং বেড়াতে যাওয়ার আগে বুদ্ধি করে পরিকল্পনা করুন। যাঁরা বেড়াতে যেতে ভালবাসেন, তাঁরা একটানা খরচসাপেক্ষ ভ্রমণ না করে কাছাকাছি ঘুরে আসার চেষ্টা করতে পারেন। এতে টাকাও বাঁচবে, আবার কাটবে একঘেয়েমির সমস্যাও।
৫. মোবাইলের হরেক রকম অ্যাপ ব্যবহার নয়: বিনোদনমূলক অনলাইন মাধ্যমগুলির মোহ থেকে বেরিয়ে আসুন। একাধিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ওয়েব সিরিজ় দেখার বদলে চেষ্টা করুন সেই সময়টা বন্ধু কিংবা আত্মীয়দের সঙ্গে ভাগ করে নিতে। যেগুলি সচরাচর দেখা হয় না, সেই ওটিটিগুলিতে আর টাকা না দিয়ে সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিন। এমন অনেক অ্যাপ থাকে, যেগুলি সাবস্ক্রিপশন নিলেও খুব বেশি ব্যবহার করা হয় না, সবার আগে সেই অ্যাপগুলিকে ফোন থেকে ডিলিট করুন। অ্যাপের পিছনে বুঝেশুনে খরচ করুন।