দেহের কিছু অঙ্গ সচল রাখতে প্রয়োজন কিছু বিশেষ ব্যায়াম। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
কোভিড হওয়ার পরে তার উপসর্গ মিলিয়ে গেলেও রেশ থেকে যায় বহুদিন। ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, রোজের কাজ করতে গেলেই হাঁপিয়ে যাওয়া বা ঘরের মধ্যে দু’পা হাঁটতেও ক্লান্তির বোধ থাকে নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার অনেক দিন পরেও। তবে শুরু থেকে যদি নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তা হলে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে আগের মতো জীবনযাপন করতে পারবেন। শুরু করতে হবে ধীরে ধীরে, এবং ক্রমশ সেটা বাড়াতে হবে। শরীরে যাতে বেশি চাপ না পরে সেটা খেয়াল রাখতে হবে। আনন্দবাজার ডিজিটালের সিরিজে আপনাদের জন্য রইল তেমনই এক গাইডলাইন।
স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে শরীরচর্চার প্রয়োজন। ফলে এ সময়ে কয়েকটি কথা মাথায় রাখতে হবে—
১। ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্র আরও শক্ত করা
২। শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখা। প্রত্যেকটা অংশ একসঙ্গে কাজ করছে, সেটা নিশ্চিত করা
৩। মাংসপেশি এবং হাড়ের জয়েন্ট ঠিক রাখা
৪। মস্তিষ্ক এবং চিন্তাভাবনা পরিষ্কার রাখা
এগুলো সবই করতে হবে ধীরে ধীরে। এবং মোট তিনটি পর্যায় করা হবে। প্রথমে শরীর গড়ে তোলা এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখার পর্ব। তার পরে শুরু হবে স্বাস্থ্য ধরে রাখার পর্ব। ধীরে ধীরে শরীরে যে বল ফিরে পেয়েছেন, তা ধরে রাখার জন্য কয়েকটি ব্যায়াম চালিয়ে যেতে হবে।
ওয়াল পুশআপ (দিন: ২৭)
সময়: ১ মিনিট
১। দেওয়াল থেকে তিন ফুট দূরত্ব রেখে দাঁড়ান। মুখ রাখুন দেওয়ালের দিকেই।
২। কাঁধ টানটান। দু’টি হাত রাখুন দেওয়ালে।
৩। সামনে অল্প ঝুঁকুন। দু’হাত দু’দিকে ছড়ানো থাক।
৪। ঠোঁট বন্ধ করে নাক দিয়ে শ্বাস নিতে নিতে শরীরের উপরের অংশ দেওয়ালের দিকে ঠেলুন। কনুই ভাঁজ করে নিন।
৫। এবার নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পিছিয়ে আনুন শরীর। হাত আবার টানটান হয়ে যাবে।
৬। নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গে এগোনো-পিছনো মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন।
৭। টানা ১ মিনিট ধীর গতিতে বারবার এই ব্যায়াম চালিয়ে যান।
আগামী দিনের গাইডলাইনের জন্য চোখ রাখুন পরের পর্বে।
তথ্যসূত্র: জন্স হপকিন্স মেডিসিন