প্রতীকী ছবি।
শরীরকে সুস্থ ও তরতাজা রাখতে গেলে শরীরচর্চা তো করতেই হবে। তবে সকলের কি আর জিমে গিয়ে ভারী ভারী ওয়েট লিফ্টিং বা একঘেয়ে শরীরচর্চা করতে ভাল লাগে! এই একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই নতুন ধরনের শরীরচর্চার বিকল্প হিসেবে জুম্বা কিংবা অ্যারোবিক্সকে বেছে নিচ্ছেন। তবে কোনটির কী রকম উপকার সেই বিষয়ে খুব একটা স্বচ্ছতা না থাকায় অনেকেই ভেবে পান না জুম্বা না অ্যারোবিক্স কোনটি তাঁর জন্য বেশি উপকারি। কাজেই সিদ্ধান্তহীনতায় পড়েন। তাই এগুলির সম্পর্কে কিছুটা হলেও স্পষ্টতার প্রয়োজন।
জুম্বা
জুম্বা আসলে নাচের মাধ্যমে করা এক ধরনের শারীরিক ব্যায়াম। এর ভঙ্গিগুলি লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন নৃত্য আঙ্গিকের অনুকরণে তৈরি। বর্তমানে জুম্বা সারা পৃথিবীতেই ভীষণভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কী উপকার রয়েছে জুম্বার?
১) জুম্বার মাধ্যমে সারা শরীরের ব্যায়াম হয়। সালসা ও অ্যারোবিক্সের সংমিশ্রণ রয়েছে জুম্বায়। এটি করার ক্ষেত্রে ঠিক বা ভুল বলে কিছু হয় না। সঙ্গীতের তালে তালে ঠিক মতো অঙ্গসঞ্চালনা করলেই হয়ে যায়।
২) একটি সমীক্ষার মতে ৩৯ মিনিটের একটি জুম্বা ক্লাসে প্রতি মিনিটে ৯.৩ ক্যালোরি ঝরে থাকে। কাজেই ওজন ঝরাতে চাইলে জুম্বাই হতে পারে আপনার সহায়।
৩) জুম্বাতে দ্রুত তালের লয়ে নাচতে হয়, ফলে শরীরের নমনীয়তা অনেক বেড়ে যায়। অনেক বেশি কর্মক্ষমতা তৈরি হয়। এ ছাড়া এটি সিস্টোলিক রক্তচাপ কমাতে ও হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
প্রতীকী ছবি।
অ্যারোবিক্স
কম সময়ের মধ্যে অ্যারোবিক্স করা যায় না। এটা করতে বেশ সময় লাগে। অ্যারোবিক্সের মধ্যে হাঁটা, সাঁতার কাটা, দৌড়নো, সাইক্লিং, জাম্পিং রোপ ইত্যাদি শরীরচর্চা রয়েছে। অ্যারোবিক্স ঠিক ভাবে করতে উপযুক্ত প্রশিক্ষকের প্রয়োজন হয়।
কী উপকার রয়েছে অ্যারোবিক্সের?
১) নিয়মিত অ্যারোবিক্স করলে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। সেইসঙ্গে হৃদরোগ সংক্রান্ত নানা ধরনের অসুখের ঝুঁকিও কমে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
২) অ্যারোবিক্স করলে শরীরে উপকারি কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। কাজেই শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে অ্যারোবিক্স করুন। এটি শরীরের বিপাকীয় হারকে বাড়াতেও সহায়তা করে।
৩) ডায়াবিটিস থাকলে অবশ্যই অ্যারোবিক্স করুন। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং সেই সঙ্গে ওজন কমাতেও সহায়তা করে।