বর্ষায় বাড়ির বাইরে পা দেওয়া মানেই ‘শ্রীচরণকমলেষু’-র দফারফা। জমা জল আর প্যাচপেচে কাদার সঙ্গে যুদ্ধ। কিন্তু এর মধ্যেও পায়ের খেয়াল রাখতেই হয়। কারণ, অন্য ঋতুর চেয়ে বর্ষাকালেই কিন্তু পায়ে ইনফেকশন বেশি হয়। জানেন কি, এই ঘোর বর্ষায় ঠিক কী কী উপায়ে নিজের পা দু’টিকে রাখতে পারবেন কোমল, সুন্দর আর ঝকঝকে? রইল টিপস। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
নোংরা জল থেকেই পায়ের চামড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় সবচেয়ে বেশি। তাই সে ভাবনা দূর করতে র্যাকে থাকুক পা-ঢাকা জুতো। চিকিৎসকদের মতে, চর্মরোগ ঠেকাতে সস্তা রাবার বা প্লাস্টিকের জুতোর বদলে একটু দামি জল নিরোধক (ওয়াটারপ্রুফ) চামড়ার জুতো পরুন। সঙ্গে অবশ্যই পরুন মোজা। ব্যাগে রাখুন আরেকটি শুকনো মোজা। সময় মতো বদলে নিন। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
খুব দরকার না পড়লে জল-কাদার রাস্তা এড়িয়ে চলুন। একান্ত তা না পারলে এমন ভাবে হাঁটুন যাতে পায়ের পাতায় খুব বেশি নোংরা না লাগে। তবে ভরা বর্ষায় রাস্তায় জল জমলে এ সব সম্ভব হয় না। তাই তখন পায়ে জল লাগলে গন্তব্যে পৌঁছেই তা ধুয়ে, মুছে ফেলুন পরিষ্কার শুকনো কোনও কাপড়ে। ছবি: নিজস্ব।
পায়ে সামান্য কোনও ক্ষত থাকলেও তা অবহেলা করবেন না। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনীয় অ্যান্টিসেপটিক লাগিয়ে তবেই রাস্তায় বেরন। বর্ষার নোংরা জল বা কাদা ক্ষতের সংস্পর্শে এলে তা থেকে দ্রুত ছড়ায় ইনফেকশন। এমন হলে, চেষ্টা করুন কম হেঁটে যানবাহন ব্যবহার করতে। ছবি: শাটারস্টক।
বাড়ি ফিরে যতই ক্লান্ত থাকুন, গরম জলে হালকা ফেনাযুক্ত কোনও শ্যাম্পু মিশিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। স্ক্রাব করে তুলে ফেলুন মরামাস ও পায়ের মৃত কোষ। তার পর অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ময়শ্চারাইজার লাগান। দিনের মধ্যে এই মিনিট দশেক সময় আপনাকে দিতেই হবে পায়ের যত্নের জন্য। তবেই পায়ের চামড়া থাকবে তরতাজা। ছবি: শাটারস্টক।
দিন পনেরো অন্তর করুন ফিশ স্পা। বর্ষাকালেই এই স্পায়ের প্রয়োজন পড়ে সবচেয়ে বেশি। জলের মধ্যে চামড়াকে সতেজ রাখতে এই স্পা সাহায্য করে বলেই এর এমন নাম। পা সার্বিক পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি কোমল রাখতেও সাহায্য করবে এটি। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।