শিবরাম চক্রবর্তী এক বার মজা করে বলেছিলেন, তিনি খুবই কর্মঠ, অন্য দিন যা খুশি হোক, মাইনের দিন কখনও অফিস কামাই করেন না। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষ বেতন নিয়ে মানুষের উৎসাহ আজও একই রকম। জানেন কি, বেতন পেলেই সাধারণত কী কী ভাবেন সিংহভাগ মানুষ? ছবি: শাটারস্টক।
উফ! এত ক্ষণে এল! মোবাইলে বেতন ঢোকার টেক্সট এলেই বেশির ভাগ মানুষেরই প্রথম প্রতিক্রিয়া হয় এমন। সকলেই যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। একটা বড় চিন্তার মুক্তি ঘটে এই মেসেজের মাধ্যমেই। যাঁরা দিন আনি দিন খাই মানুষ, তাঁদের কাছেও বেতন হাতে পাওয়ার মতো ভরসা আর কিছুতে নেই। ছবি: শাটারস্টক।
আপনি কি খুব বিষয়ী মানুষ? টাকা-পয়সা জমানোর চিন্তা সারা ক্ষণই ঘুরঘুর করে মাথায়? ধরে নেওয়া হয় এই শ্রেণির মানুষরা সাধারণত বেতন এলেই পরিকল্পনা করে ফেলেন কোথায় কী ভাবে কত টাকা রাখবেন। কোথাও নতুন কোনও আমানত চালু করবেন কি না। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
তবে কিছু হুজুগে কেনাকাটায় আগ্রহী মানুষও আছেন, যাঁরা বেতনের খবর এলেই সারা মাসের কেনাকাটার হিসাব কষতে থাকেন। বেতন এলেই পারলে সে দিনই তাঁরা সেরে নেন টুকটাক কেনাকাটা। ছবি: শাটারস্টক।
কারও কারও আবার বেতনের দিনটাই ইএমআই-এর বিল জমা দেওয়ার দিন। তাই বেতন ঢুকলেই তাঁরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন সে সব বিল জমা দিতে। বেতনের টেক্সট তাঁদের আরও ব্যস্ত করে তোলে। ছবি: শাটারস্টক।
অনেকে আবার বুঝেই উঠতে পারেন না সারা মাস কী করে এত খরচ হয়ে যায়! মাসের শেষে তাঁদের টাকা জমানোর দুরাবস্থা দেখে বেতন ঢুকলেই তাঁরা খরচ কমানোর বিষয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। তাই বেতন পাওয়া তাঁদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জই বটে! গরিব মানুষও চেষ্টা করেন এ থেকে কিছুটা জমিয়ে রাখতে। ছবি: শাটারস্টক।
অনেকের কাছে আবার বেতনের দিন মানেই বন্ধুদের সঙ্গে ডাইন আউট বা মজা করার দিন। তাই অফিস সেরেই বন্ধুর দল জুটিয়ে সময় কাটাতে চান তাঁরা। বেতনের টেক্সট এলেই তাঁরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার আয়োজন করতে। ছবি: আনস্প্ল্যাশ।