দ্রুত রোগা হওয়ার ফাঁদে পা না দিয়ে ওজন কমান নিয়ম মেনে। ছবি: শাটারস্টক।
সামনেই পুজো, এ দিকে হু হু করে বাড়ছে ওজন? আসলে পুজোর আগে রোগা হওয়ার বাড়তি চেষ্টা থাকে সকলের মধ্যেই। পাড়ায় সদ্য গজিয়ে ওঠা জিম, হঠাৎই ভীষণ নিয়ম মেনে চলতে শুরু করা, ডায়েটের ঘনঘন বদল, পরিকল্পনা না করেই খাদ্যাভ্যাস বদলে দেওয়া, নিয়ম না জেনেই জিম করা— এ সব ভুল কারণে কমার বদলে হঠাৎই বেড়ে যায় ওজন।
অনেকেই রোগা হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টায় চিকিৎসকের কোনও রকম পরামর্শ ছাড়াই সহজে রোগা হওয়ার ওষুধ খেতে শুরু করেন। শরীরের জন্য আদৌ এই ওষুধ কতটা কার্যকর, তা না জেনেই এ সব করলে বিপরীত প্রতিক্রিয়া হয়।
আসলে রোগা হওয়ার লড়াইয়ে নেমে আমরা ভুলতে বসি, চেহারার সৌন্দর্যের চেয়েও সুস্থতা বেশি জরুরি। সুস্থ থেকে ওজন ঠিক রাখতে কিছু উপায় বাতলালেন পুষ্টিবিদ সমীরণ সরকার। রোগা হওয়ার দৌড়ে নাম লেখানোর আগে মাথায় রাখুন সে সব দরকারি পরামর্শ।
আরও পড়ুন: বারবার ফোটালে স্বাস্থ্যহানি, চা পান নিয়ে চাপান-উতোর
যে আইসক্রিমটা খান সেটা ভ্যানিলাই তো?
ডায়েট বাছা থেকে খাদ্যের সময় নির্বাচন— সবেতেই চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শই হোক শেষ কথা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ভিটামিন বি সাপ্লিমেন্ট রাখতে পারেন খাবার তালিকায়। ভুল ডায়েট করতে গিয়ে কি দুধ, দুগ্ধজাত খাবার, দই ছেঁটে ফেলেছেন তালিকা থেকে? এমনকি, ডিমের কুসুমও বাদ? তা হলে সাবধান! শরীরে ক্যলসিয়ামের মাত্রা চরচর করে কমলেও ঘিরে ধরতে পারে বাড়তি মেদ। তাই ডায়েটে ক্যালসিয়াম পর্যাপ্ত আছে কি না দেখে নিন। হাঁটাহাঁটি-শরীরচর্চা রোগা হওয়ার জন্য অব্যর্থ। কিন্তু অতিরিক্ত পরিশ্রমের সঙ্গে পাল্লা দিতে গেলে ডায়েটের সঙ্গেও সাযুজ্য রাখতে হবে। নইলে সেই ঘাটতিতেই গুঁড়ি মেরে ঢুকে পড়বে অবাঞ্ছিত মেদ। কাজেই কম খাওয়া নয়, বরং সময় মেপে খাওয়ায় মন দিন। প্রতি চার ঘণ্টা অন্তর কিছু খান। দুপুর ও রাতের খাবারের মাঝে আট ঘণ্টার বেশি ফাঁক যেন না থাকে। তার মাঝেই চার ঘণ্টার মাথায় এক বার হালকা কিছু খান।
পুজোর আগে কিছু পার্টি, কেনাকাটার হুল্লোড়ে বাইরে খাওয়া-দাওয়া, বন্ধুদের আড্ডা এ সবের মাত্রা একটু বাড়ে। ফলে কিছু অনিয়ম হয়ই। এই অনিয়মগুলোকে ছেঁটে ফেলুন। পুজোর আগে ঘরদোর পরিষ্কারের একটা নিয়ম প্রায় সব বাড়িতেই থাকে। পারলে লোক লাগিয়ে নয়। এ সব কাজ নিজে করুন। টুকটাক অনিয়মের মেদ এ সব কায়িক শ্রমে ঝরে যায়। প্রচুর জল খেলেই শরীরের সব সমস্যা দূরে থাকে— এমন ধারণা থাকলে তা আগে সরান। আপনার শরীরে ঠিক কতখানি জল প্রয়োজন, চিকিৎসকের কাছ থেকে তা আগে জানুন। সেই অনুপাতে নিয়মিত জল খান।