গ্রীষ্মকাল হোক বা বর্ষার ভ্যাপসা গরম, ঘামের সমস্যা থেকে মুক্তি নেই প্রায় কারও। পরিপাটি স্নান, নামী পারফিউম— কোনও কিছুতেই ঘাম ও তার দুর্গন্ধ এড়ানো যায় না। কিন্তু এই ঘাম থেকে রক্ষা পাওয়ার হাতিয়ার কিন্তু রয়েছে আপনার রান্নাঘরেই! জানেন সে সব কী কী? ছবি: শাটারস্টক।
লেবুর রস: লেবু ত্বকের পিএইচ মাত্রা কমিয়ে দিতে সক্ষম। এর ফলে শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস হয়। পাতি লেবুর সঙ্গে সামান্য নুন মিশিয়ে শরীরে লাগান, মিনিট পাঁচেক রেখে ধুয়ে ফেলুন। নুনের সোডিয়াম রোমকূপের মুখ পরিষ্কার করে ও ঘামের দুর্গন্ধ সরায়। শরীরে ক্ষত থাকলে সেখানে এটি লাগাবেন না। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
টম্যাটো: ভিতরের শাঁস বাইরে আনুন। তা শরীরের নানা অংশে লাগিয়ে মিনিট পনেরো রাখুন। টম্যাটো রোদে পোড়া দাগ কমাতে সাহায্য যেমন করে, তেমনই ঘাম আটকাতে এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ভাল ফল পেতে এক বালতি স্নানের জলে মেশান এক কাপ টম্যাটোর রস। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
চা: চায়ের ট্যানিন ত্বককে শুষ্ক রাখতে সাহায্য করে। ত্বক বিশেষজ্ঞ কৌশিক লাহিড়ীর মতে, এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপকারি গ্রিন টি। জল ফুটিয়ে তাতে গ্রিন টি-র পাতা দিন। সেই চা এ বার ভরে নিন বোতলে। বেশি ঘাম হয় শরীরের এমন নানা জায়গায় স্প্রে করুন। উপকার মিলবে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
বেকিং সোডা: শরীরের অতিরিক্ত আর্দ্রতা শুষে নেয়। ফলে ঘাম ও তার দুর্গন্ধ দুই থেকেই বাঁচায় এটি। যে সব অংশ বেশি ঘামে সেখানে পাউডারের মতো করে ব্যবহার করুন বেকিং সোডা। ভাল ফল পেতে খানিকটা জলে দু’চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে তা স্প্রে করুন। শুকিয়ে গেলে ঝেড়ে ফেলুন। ছবি: শাটারস্টক।
ভিনিগার: সাদা ভিনিগার ও অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার দুই-ই ঘামের পিএইচ মাত্রা কমাতে ওস্তাদ। প্রাকৃতিক পারফিউমের উপকার পেতে দুই টেবিল চামচ ভিনিগার, কয়েক ফোঁটা পিপারমিন্ট ও রোজমেরির তেল একসঙ্গে মিশিয়ে বোতলে রাখুন। বেরনোর আগে পারফিউমের মতো স্প্রে করুন শরীরে। ছবি: আনস্প্ল্যাশ।