চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব পাকে ফাঁটার হাত থেকে রক্ষা করতে। ছবি: আইস্টক।
সারা দিনের দৌড়ঝাঁপ, একটু বৃষ্টি পড়লেই কাদা জল, হাঁটাহাঁটি সব সওয়ার ভারই পায়ের উপর। অথচ পায়ের প্রতি যত্ন নেওয়ার বেলাতেই থেকে যায় অনেক ফাঁক। প্রতি রাতে পেট্রোলিয়াম জেলি বা ফুট ক্রিম লাগানো বা কোনও জায়গা থেকে ঘুরে এসে পা ভাল করে ধুয়ে নেওয়াটাই কিন্তু পায়ের যত্নের শেষ কথা নয়।
পায়ের যত্ন নিতে গেলে কেয়াল রাখতে হবে জুতো বাছার দিকেও নজর দিতে হয়। পায়ে জন্য স্বাস্থ্যকর এমন জুতো বাছুন। চেষ্টা করুন পা যতটা সম্ভব শুকনো রাখতে।
তবে বেশ কিছু নিয়ম মানলে পা কখনও ফাটবে না, পায়ের ত্বক থাকবে কোমল ও পরিষ্কার।
আরও পড়ুন: বসন্তে হানা দিতে পারে নানা সংক্রামক অসুখ, রুখে দিন এ সব উপায়ে
একটানা সাত-আট ঘণ্টা এক মোজা পরার পর পরের দিন আর সে মোজা পরবেন না
সুতির মোজা পরুন: পায়ের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে সুতির মোজার উপর নিশ্চিন্তে ভরসা রাখতে পারেন। তবে দিনে একটানা সাত-আট ঘণ্টা এক মোজা পরার পর পরের দিন আর সে মোজা পরবেন না। মোজা নোরা না হলে বা তেমন গাম না হলে অনেকে একই মোজা পর পর দু’দিন ব্যবহার করেন। এমন ভুল আর নয়। ঘাম না হলেও মোজা একটানা পরলে পায়ে নানা ফাঙ্গাল ইনফেকশন জমে। মোজা পরারা আগে পা শুকনো করুন।
জুতোর ফিটিং: শক্ত সোলের জুতো, পরলে পায়ে কড়া পড়ে যায় এমন জুতো থেকে শত হস্ত দূরে থাকুন। পায়ের বন্ধু নয়, এমন জুতোর কারণেই বাধাপ্রাপ্ত হয় পায়ের রক্ত চলাচল।
সঠিক ময়েশ্চরাইজ়ার: নারকেল বা অলিভ তেল, পেট্রোলিয়াম জেলি বা যে কোনও ফুট ক্রিম পায়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে। তবে ময়েশ্চরাইজ়ার লাগানোরআগে পা গরম জলে ডুবিয়ে রেখেপামিস স্টোন দিয়ে ভাল করে ঘষে স্ক্রাব করে নিন। তার পর ময়েশ্চরাইজ়ার লাগিয়ে মোজা পরে নিন।
নখের যত্ন: পায়ের যত্নের ক্ষেত্রে নখের যত্নও নিতে হবে। নখ ঠিকভাবে কাটুন, পরিষ্কার করুন। নইলে নখের সংক্রমণথেকেও পা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।