Fever জ্বর Viral Fever Flu Health Tips Flu Symptoms Fitness Tips

চরিত্র বদলাচ্ছে ভাইরাল ফ্লু, বসন্তে অসুখ ঠেকাতে মেনে চলুন এ সব

অনেক সময় ঋতু পরিবর্তেনর সময় হওয়া জ্বরের ধরন আমরা বুঝে উঠতে পারি না। তাই সাধারণ জ্বরব্যধির ওষুধ খেয়েই সপ্তাহখানেক সময় নষ্ট করেন রোগীরা।সে কারণেই জ্বরের উপসর্গের ফারাক জেনে রাখা খুবই জরুরি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৬:০৪
Share:

ফ্লু হলে ওষুধের পাশাপাশি পথ্য ও বিশ্রামে জোর দিন। ছবি: শাটারস্টক।

শীত ও গ্রীষ্ম এই দুই ঋতুকে জোড়ে বসন্ত। আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রক্রিয়া তাই গোটা বসন্ত জুড়েই চলতে থাকে। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের সময় প্রকৃতি ফুলে-ফলে সেজে উঠলেও ঘরে ঘরে ডেকে আনে জ্বর-সর্দিকাশি। এই সময় কোনও দিন ঠান্ডা, কোনও দিন একটু চড়া তাপমাত্রায় জাঁকিয়ে ধরে ফ্লু। শাঁখের করাতের মতো দ্বিমুখী চালেই সক্রিয় হয় অ্যালার্জেন, ব্যাকটিরিয়ারা।

Advertisement

অনেক সময় ঋতু পরিবর্তেনর সময় হওয়া জ্বরের ধরন আমরা বুঝে উঠতে পারি না। তাই সাধারণ জ্বরব্যধির ওষুধ খেয়েই সপ্তাহখানেক সময় নষ্ট করেন রোগীরা। সে কারণেই জ্বরের উপসর্গের ফারাক জেনে রাখা খুবই জরুরি।

সাধারণত একটা সময় পর্যন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াদাওয়া, ওষুধপথ্য, নিয়ম— এই তিন উপায়ে মুক্তি পাওয়া যেত ভাইরাল ফিভারের হাত থেকে। তবে সময় বদলের সঙ্গে জীবাণুরাও তাদের চরিত্র বদলাচ্ছে। অভিযোজিত হচ্ছে। তাই ভাইরালের প্রভাব বাড়লে বাড়াতে হচ্ছে সতর্কতাও। বিশেষ করে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসার ও কিডনির অসুখে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এই সচেতনতা আরও বাড়ানো দরকার।

Advertisement

আরও পড়ুন: নিশ্চিন্তে পাতে রাখুন এই খাবার, দূরে থাকবে হৃদরোগ-ক্যানসারের মতো হাজারো অসুখ

ভাইরাল ফিভারের সময় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য কোনও ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।

কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন?

এ সময় খুব বেশি জ্বর হবে এমন কোনও কথা নেই। হালকা গা গরম থেকেও শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ভাইরাল ফ্লু। জ্বরের সঙ্গে মাথা যন্ত্রণা, দুর্বল লাগা, স্বাদে অরুচি এগুলি অসুখের অন্যতম লক্ষণ। জ্বরের সঙ্গে গা-হাত-পায়ে ব্যথা অনুভব বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই থাকে। অ্যালার্জির প্রবণতা থাকলে নাক দিয়ে কাঁচা জল ঝরা, সর্দি-কাশিদেখা দিতে পারে।

ভাইরাল হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিকেও জ্বর তিন-চার দিনে না কমলে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলার পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে বেশ কিছু সতর্কতাও অবলম্বন করতে হবে।

আরও পড়ুন: মেদ ঝরাতে সময় দিন মোটে ১০ মিনিট! স্রেফ এই উপায়ে লাফালেই কমবে ওজন

মেনে চলুন

যতটা সম্ভব ঠান্ডা না লাগানোর চেষ্টা করুন। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় অল্পেইঠান্ডা লাগতে পারে। তার হাত ধরে জ্বরে পৌঁছে যাওয়া নতুন কিছু নয়। ঠান্ডার ধাত থাকলে গোটা শীত ও বসন্ত কাল জুড়েই গা সওয়ানো উষ্ণ জলে স্নান করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য কোনও ওষুধ নয়। পাতে রাখুন সবুজ শাক-সব্জি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এমন খাবারদাবার। শরীরে জলের পরিমাণ কমিয়ে ফেললে চলবে না।ঠান্ডা পানীয়, মদ্যপান এ সব থেকে দূরে থাকুন। কারণ এই সব তরল শরীরের জল শোষণ করে শরীরকে শুষ্ক করে দেয়। বেশি দূষণযুক্ত এলাকায় থাকলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। কাশি হলেদোকান থেকে কিনে আনা যে কোনও কাফ সিরাপ নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই এ সব ব্যবহার করুন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement