স্ট্রেচ মার্ক কেবল সৌন্দর্যের অন্তরায় নয়, ত্বকের সমস্যাও আনে। ছবি: শাটারস্টক।
সারা শরীরের কোথাও অনেকগুলো সাদা সাদা দাগ। কোথাও বা আঁচড়ে দেওয়ার মতো সাদাটে দাগ সামান্য ফুলে আছে। এককথায় স্ট্রেচ মার্ক। হঠাৎ ওজন বেড়ে গেলে বা ওজন কমে গেলেও নারী-পুরুষ নির্বিশেষের শরীরে এমন দাগ দেখা যায়। সন্তানধারনের পর প্রায় অনেক মহিলার পেটে ও কোমরে এই স্ট্রেচ মার্ক আসে।
শরীরে এমন স্ট্রেচ মার্ক কেবল সৌন্দর্যকে কমিয়ে দেয় এমনই নয়, সারা শরীরে অতিরিক্ত স্ট্রেচ মার্ক মানে শরীর তার পুষ্টিগুণও যথাযথ পাচ্ছে না। সাধারণত স্ট্রেচ মার্কের সমস্যা এলে অনেকে প্রথমে তা গুরুত্ব দিতে চান না। কিন্তু এই দাগের বাড়াবাড়ি ত্বকেরও ক্ষতি করে। তাই স্ট্রেচ মার্কের বাড়াবাড়ি হলে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
তবে স্ট্রেচ মার্ক অল্প থাকলে তা কিছু ঘরোয়া উপায়েই মোকাবিলা করা যায়। বাজারচলতি নানা ক্রিমে স্ট্রেচ মার্ক দূর করা গেলেও বিভিন্ন রাসায়নিকযুক্ত সে সব ক্রিমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম নয়। তাই কিছু বিশেষ ঘরোয়া উপায়ে এটি দূর করলে ত্বকের কোনও ক্ষতি হয় না। জানেন সে সব?
আরও পড়ুন: বয়স বাড়ছে, শরীরই এই ভাবে আপনাকে বলবে সতর্ক হতে, গুরুত্ব না দিলে কিন্তু বিপদ
স্ট্রেচ মার্ক তুলতে অব্যর্থ ডিমের সাদা অংশ। ছবি: শাটারস্টক।
ডিমের সাদা অংশ: কুসুম বাদে ডিমের সাদা অংশ ভাল করে ফেটিয়ে নিন। এ বার তা স্ট্রেচ মার্কের উপর মাখিয়ে রাখুন। পনেরো মিনিট রাখার পর তা গরম জলে ধুয়ে নিন। এর পর অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে রাখুন সেই জায়গায়। ধীরে ধীরে হালকা হয়ে দাগ মিলিয়ে যাবে।
আলুর রস: ত্বকের যে কোনও সমস্যার জন্য আলুর রস খুব উপযোগী। স্ট্রেচ মার্কের উপর আলুর রস মাখিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। এ ভাবে কয়েক সপ্তাহ যত্ন নিলেই স্ট্রেচ মার্কের দাগ উঠে যাবে।
আরও পড়ুন: এ ডায়েটে ঘি-মাখন, মাছ-মাংস-ডিম ঠাসা কিন্তু ওজন কমবে হুড়মুড়িয়ে!
হলুদ ও সরষের তেল: হলুদ ও সরষের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। তার পর তা স্ট্রেচ মার্কের উপর লাগিয়ে রাখুন। সপ্তাহে বার তিনেক তা লাগালে স্ট্রেচ মার্কের দাগ এক সময় মিলিয়ে যায়।
লেবু ও চিনি: লেবু টুকরে করে কেটে তার উপর চিনি যোগ করুন। এ বার চিনি-সমেত লেবুটিকে স্ট্রেচ মার্কের উপর ঘষতে থাকুন। চিনি গলে গেলে বাল করে ধুয়ে নিন। এই প্রক্রিয়াটি সপ্তাহে বার চারেক করতে পারলে হালকা হয়ে উঠে যাবে স্ট্রেচ মার্ক।