ডায়েটে যোগ করুন স্ট্রবেরি। ছবি: শাটারস্টক।
আইসক্রিম হোক বা কুকিজ-কেক, স্ট্রবেরি ফ্লেভারের অবাধ যাতায়াত আমাদের নানা খাবারে। তবে কেবল স্বাদ-গন্ধেই নয়, এর পুষ্টিগুণও যথেষ্ট। স্ট্রবেরির শাঁস যেমন নানা খাবারে ব্যবহার করা হয়, তেমন এর রসও বিভিন্ন মকটেল ও চকোলেট প্রস্তুতকারী সংস্থা কাজে লাগায়। তবে কেবল খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রেই স্ট্রবেরি কাজে লাগে, এমন নয়। রূপচর্চাতেও স্ট্রবেরি কাজে আসে।
পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহ-র মতে, ‘‘কোনও বিশেষ অসুখের কারণে স্ট্রবেরি খাওয়া বারণ থাকলে তা আলাদা বিষয়, নইলে স্ট্রবেরি নানা ভাবে খাদ্যতালিকায় যোগ করা উচিত। তবে স্ট্রবেরি ফ্লেভারের কিছু খাওয়া মানে স্ট্রবেরির পুষ্টিগুণ পাচ্ছি— এমন ভাবনা ঠিক নয় মোটেই। তবে যেখানে স্ট্রবেরি পাল্প ব্যবহার করা হয়, সেখানেও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সময় নানা রাসায়নিক পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় বলে এর কোনও পুষ্টিগুণই প্রায় অবশিষ্ট থাকে না। সেখানে কেবলই গন্ধ ও সামান্য স্বাদের আভাসটুকুই মেলে। কিন্তু স্ট্রবেরিকে রোজ ফল হিসেবে খেলে বা স্যালাডে মেশালে তার উপকারিতা অনেকটাই। অনেকে জল ঝরানো টক দইয়ের সঙ্গে এর শাঁস ও বীজ মিশিয়ে খায়, সেটি উপাদেয়ও।’’
স্ট্রবেরির খোসা থেকে বীজ— গুণাগুণ ঠাসা পুরো ফলেই। হার্টের অসুখ, ওবেসিটির মতো নানা সমস্যাতেই স্ট্রবেরি অন্যতম পথ্য হয়ে উঠতে পারে। প্রতি দিন ডায়েটে স্ট্রবেরি রাখলে কী কী উপকার হয় জানেন?
আরও পড়ুন: ট্রেকিংয়ে গিয়ে এ সব মেনে চলুন, অসুবিধা সরে পাহাড়ি ভ্রমণ সুখের হবে
বাড়ি ফিরে এটা দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন, ত্বকের যত্ন এ বার হাতের মুঠোয়!
প্রিয় চিকেন স্যালাডেও মেশাতে পারেন স্ট্রবেরি।
ভিটামিন সি-এর প্রাচুর্য স্ট্রবেরির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এ ছাড়া প্রচুর ভিটামিন এ, ফসফরাস ও ম্যাঙ্গানিজের জোগান দেয় এই ফল। তাই শরীরে ভিটামিন সি ও এ-র ঘাটতি মেটাতে স্ট্রবেরি রোজই রাখতে পারেন ডায়েটে। স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে। শরীরে জলের জোগানেও কাজে আসে স্ট্রবেরি। গরমে শরীরে জলের অভাব দূর করতে কার্যকর এই ফল। স্ট্রবেরির বীজে প্রচুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। হার্ট ভাল রাখতে ও খারাপ কোলেস্টেরলকে বাগে আনতে কাজে আসে এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। স্ট্রবেরির অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও প্লান্ট কম্পাউন্ড রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ডায়াবিটিকদের জন্য এই ফল খুবই উপকারী। শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যালসকে বাড়তে দেয় না এই ফল, তাই ক্যানসারের শঙ্কা কমে।