প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে কম যায় না মটরশুঁটি। ছবি: শাটারস্টক।
শীতে মটরশুঁটি থাকবে না পাতে, তা আবার হয় নাকি! তাই মাংস থেকে শুরু করে ডাল, বাঙালির নানা রান্নাতেই কমবেশি এর যাতায়াত আছে। মটরশুঁটির কচুরিও শীতের অন্যতম খাবার। ইউরিক অ্যাসিডের চোখরাঙানি না থাকলে এই সব্জি থাকতেই পারে আপনার পাতে।
পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহের মতে, ‘‘নিরামিষাশী হোন বা আমিষাশী, এই সব্জি ব্যবহার করা যায় সব রকমের পদে। যে কোনও স্যালাডেও এর ব্যবহার রয়েছে। প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে কম যায় না মটরশুঁটি। ২ টুকরো মাছ বা তিন টুকরো মাংসের থেকে যে প্রোটিনের জোগান পাওয়া যায়, সেই প্রোটিনই মেলে এক বাটি কড়াইশুঁটি থেকে।’’
শীতে মটরশুঁটি যেমন প্রোটিনের চাহিদা যেমন মেটাবে, তেমনই শরীরের আরও নানা উপকারেই তা লাগে। রইল সে সবের হদিশ।
আরও পড়ুন: একটানা বসে থেকে পিঠ বা কোমরে ব্যথা? এই সব অভ্যাসেই মিলবে আরাম
ব্রণর সমস্যায় জেরবার? ঘরোয়া এই সব উপায়েই লুকিয়ে সমাধান
মটরশুঁটির অ্যান্টিইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরের টক্সিন দূর করে ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায় মটরশুঁটি। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলকে জমতে না দিয়ে হৃদরোগ থেকে দূরে রাখে এই সব্জি। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও এর ভূমিকা রয়েছে। মটরশুঁটি থেকে প্রচুর প্রোটিন মেলে। তাই ওবেসিটির রোগীদের ফুল প্রোটিন ডায়েটে মটরশুঁটি অন্যতম উপাদান।