মেদ ঝরাতে মজুত রাখুন ডিটক্সিফিকেশনের দাওয়াই। ছবি: আইস্টক।
ব্যস্ততার চাপে অনিয়ম, ভুল খাবার বাছা, দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগকে সঙ্গী করে চলার জীবনে ওজন হু হু বেড়েই চলেছে। ডায়েট, শরীরচর্চা এ সবে উপকার পেলেও সব সময় নিয়মের বেড়াজালে নিজেকে আটকে রাখা যায় না, আবার এক আধ দিনেরঅনিয়ম বাড়তে বাড়তে ডায়েট ও শরীরচর্চার উপকারী দিকেও বসায় কোপ।
রোজের নিয়মে শরীরে যেটুকু ক্ষতি হয়, তাকে রুখে দিতে চাইলে ডিটক্সিফিকেশনের উপর নির্ভর করা ছাড়া উপায় নেই। ডায়েটের নিয়ম মানার সঙ্গে শরীরচর্চাও প্রয়োজন। তাই সে সব মানতেই হবে। তবে এর সঙ্গে হাতের কাছে মজুত রাখতে হবে এমন সব পানীয় যারা অন্তত শরীরের অনিয়মকে বশে এনে ক্ষতি কমিয়ে ফেলতে সক্ষম হবে।
দিনের শুরুতই ডায়েটে রাখুন এমন কিছু পানীয়। কী ভাবে বানাবেন, কী কী উপাদান প্রয়োজন, জানেন? রইল তার হদিশ।
আরও পড়ুন: জল-কাদায় পা নোংরার ভয় নেই, এ বার বর্ষায় নকশাদার গামবুটস ফ্যাশনে ‘ইন’!
জিরে-লেবু-মধু: ওজন কমানোর ধারণা আঁকড়ে অনেকেই লেবু-মধুর জলে আস্থা রাখেন। তবে মেদ কমানোর চেষ্টার পাশাপাশি ফিট থাকাও আমাদের প্রয়োজন। তাই লেবু-মধুর ক্যারিশ্মায় মেদ কমে— এ নিয়ে দ্বিমত থাকলেও এটি যে ডিটক্সিফিকেশনের জন্য অন্যতম সেরা পানীয়, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এর সঙ্গে যোগ করুন জিরেও। প্রতি রাতে এক গ্লাস জলে এক চামচ জিরে, একটা লেবু ও এক চামচ মধু মিশিয়ে রাখুন। সেই জল সকালে ছেঁকে খান। শরীরকে ডিটক্স করতে খুবই কাজে আসবে।
আরও পড়ুন: পিঠের মেদ ক্রমেই বেড়ে চলেছে? এই সব মানলে ছিপছিপে চেহারা পাবেন সহজেই
লেবু: অনেক উপাদান একসঙ্গে হাতের কাছে না থাকলেও অসুবিধা নেই। গোটা পাতিলেবু ঈষদুষ্ণ জলে নিংড়ে নিন। এ বার সেই জল খান প্রতি দিন। শুধু খালি পেটে সকালেই নয়, এই জল খেতে পারেন দিনের মধ্যে যে কোনও সময়। লেবুতে শরীরের টক্সিন দূর করার ক্ষমতা প্রচুর। আর গরম জলে খাওয়া হয় বলে একাধিক বার খেলেও অ্যাসিডিটির ভয় থাকে না।
দারুচিনি: গরম জলে দারুচিনি গুঁড়ো ফেলে সেই জল খান প্রতি দিন সকালে। দারুচিনির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ঠান্ডা আটকানোর দাওয়াই এ সব গুণের সঙ্গে শরীরের টক্সিন বার করে দেওয়ার ক্ষমতাও আছে। তাই প্রতি দিন দারুচিনির জল রাখুন ডায়েটে।