উনিশ শতকের মধ্যভাগে ইউরোপ-আমেরিকায় যে সমস্ত শার্ট তৈরি হতো তাতে ইচ্ছেমতো কলার খোলা বা লাগানো যেত।<br> কলার দেওয়া শার্ট পরতে ইচ্ছে হলে তা সঙ্গে সঙ্গে লাগিয়ে নেওয়া যেত। আবার ইচ্ছে হলে তা খুলেও রাখা যেত।<br> জামাকাপড় ধোওয়ার সুবিধার জন্যই এমনধারা বন্দোবস্ত।
শুধু পুরুষরাই নয়, সে যুগে মহিলাদের পোশাকেও কলারের চলন ছিল।<br> পুরুষদের শার্টের মতোই কলার খুলে ও আটকে রাখা যেত।<br> তা ছাড়া, গয়নাগাঁটি পরার জন্যও এ রকম পোশাক বানানো হতো বলে জানা যায়।
তখনকার দিনে এত ঘন ঘন জামাকাপড় পরিষ্কার করার রেওয়াজও ছিল না।<br> জামাকাপড় পরিষ্কার করার হলে তা লন্ড্রিতে ধোওয়ার রেওয়াজ ছিল।<br> তবে তা ছিল বেশ খরচসাপেক্ষ। তাই খরচ বাঁচাতে কলার খোলা বা লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে মনে করা হয়।
উনিশ শতকের মহিলাদের কলার দেওয়া পোশাক দেখলে মনে হতে পারে তা কোনও কস্টিউম পার্টির জন্য তৈরি করা হয়েছে।<br> তবে যতই নাক সিঁটকোন, সে যুগে তেমন পোশাকেরই চলন ছিল।
সে যুগে ওয়েস্টকোট বা সোয়েটারের নীচে শার্ট পরা হতো।<br> তবে সে পোশাকে কাজকর্ম করার পর তা খুব তাড়াতাড়ি নোংরা হয়ে যেত।<br> তাই অনেকেই শার্টের কলার খুলে কাজকর্ম করতেন।
সে যুগে সাধারণত সাদা রঙের কলার তৈরি করা হত। শক্তপোক্ত কলার খুলে তা পরিষ্কার করতে বা ব্লিচ করার সুবিধার জন্যই এ রকম বন্দোবস্ত ছিল।