বাড়িতে শিশু থাকলে চোট-আঘাত লেগেই থাকে। সন্তানের দৌরাত্ম্য যেমন থাকবে, তেমনই তার জন্য হাতের কাছে তৈরি রাখতে হবে নিরাময়ের ব্যবস্থাও। পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়া শিশুদের সাধারণ সমস্যা। আবার কখনও বা অন্য ভাবেও আহত হয় সন্তান। দেখে নিন সে সব কী কী, আর কী ভাবেই বা তার মোকাবিলা সম্ভব। ছবি: শাটারস্টক।
পড়ে যাওয়া: সদ্য হাঁটতে শেখা শিশু যখন-তখন আছাড় খায়। আবার প্রায়ই নানা ভাবেই পড়ে গিয়ে হাত-পা কেটে ফেলে ছোটরা। এ সবের জন্য বাড়িতে সব সময় মজুত রাখুন ব্যান্ডেজ, তুলো, গজ, অ্যান্টিসেপটিক লোশন ও ওষুধ। বাড়ির মেঝে বাধাহীন ও শুকনো রাখুন। সিঁড়িতে রেলিং রাখুন। মেঝে কার্পেট বা মাদুরে ঢেকে রাখুন। ছবি: শাটারস্টক।
আঙুলে চাপ: দরজা-জানলার কোণে বা গাড়ির দরজায় আঙুল চেপে যায় অনেক শিশুর। দরজা-জানলা বন্ধের সময় ভাল করে দেখে নিন শিশুর হাত বা পা কোনও খাঁজে আটকে আছে কি না। শিশুর ঘরের দরজা-জানালা বন্ধই রাখুন। একান্তই খুললে, ভাল করে হুক দিয়ে আটকান। এ ভাবে আঘাত পেলে বরফ দিন ক্ষতস্থানে ও চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। ছবি: শাটারস্টক।
শরীরে কিছু ঢুকিয়ে ফেলা: অনেক সময় নাক বা মুখের মধ্যে দিয়ে অনেক কিছুই গলিয়ে ফেলে শিশু। এতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে, তাই খুব সতর্ক থাকুন। শিশুকে চোখে চোখে রাখুন। মেঝে পরিষ্কার রাখুন, শিশুর হাতে এমন কিছু দেবেন না যা সহজেই নাক-মুখ দিয়ে গলে যাতে পারে। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। ছবি: শাটারস্টক।
বিষক্রিয়া: শিশুরা যে কোনও জিনিসেরই গন্ধ বা স্বাদ পেতে বরাবর আগ্রহী। তাই তাদের নাগালের মধ্যে রাসায়নিক দ্রব্য, কোনও ওষুধ বা কীটনাশক রাখবেন না। বড়দের অনুপস্থিতিতে শিশু সে সব খেয়ে ফেললে তা থেকে চূড়ান্ত বিপদ হতে পারে। এমন হলে নার্ভাস না হয়ে দ্রুত শিশুকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। ছবি: শাটারস্টক।
যন্ত্রে হাত কাটা: মূলত বড়দের অসাবধানতার কারণেই শিশু কিছু কিছু বিপদের সম্মুখীন হয়। তাই নিজেরা খুব সচেতন থাকুন এ সব বিষয়ে। ছুরি-কাঁচি, ব্লেড এ সব ধারালো জিনিস খবরদার তার নাগালের মধ্যে রাখবেন না। একান্তই বিপদ ঘটলে হালকা কাটা-ছেঁড়া হলে বাড়িতেই ফার্স্ট এড দিন, নইলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ছবি: শাটারস্টক।