ঠিক পদ্ধতিতে ব্রাশ করলেই দাঁত থাকবে মজবুত। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
দাঁতের যত্ন নেওয়া স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। কিন্তু অত্যন্ত বেশি যত্ন কোথাও দাঁতেরই ক্ষতি করছে না তো? কিংবা এমনও হতে পারে, যে উপায়ে যত্ন নিচ্ছেন, তার পদ্ধতি ঠিক হচ্ছে না। এমন হলে কিন্তু দাঁতের ক্ষতি অবধারিত।
ছোটদেরও আমরা দাঁত মাজার কথা বলি, নানা রকম যত্নের উপায় শেখাই। কিন্তু ঠিক কী উপায়ে সেই যত্ন নেওয়া সম্ভব তা কি জানেন?
দেখুন তো, পদ্ধতিগত এমন কোনও ভুল রোজ আপনারও হচ্ছে না তো?
আরও পড়ুন
এই সব কাজে এর আগে কোল্ড ড্রিঙ্ক ব্যবহার করেছেন কখনও?
সময়: বেশি ক্ষণ ব্রাশ করলে ভাল ভাবে দাঁত পরিষ্কার হয়, এমনটাই ভাবেন কি? তা হলে সে ভাবনা ভুল। চিকিৎসকদের মতে, মিনিট দুয়েকের বেশি সময় ধরে এক টানা ব্রাশ করে যাওয়া দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
খেয়ে উঠেই ব্রাশ: যাই খান, তা খাওয়ার পরেই যদি ব্রাশ করে থাকেন, তা হলে সে অভ্যাস আজই বদলান। দাঁতের সুরক্ষার কথা ভেবে খাওয়ার পরই দাঁত মাজলে তা অনেক সময় ক্ষতি করে। কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন সেটা আগে ভাবুন। ফল বা অম্লজাতীয় খাবার খাওয়ার পর দাঁত মাজলে দাঁতের ক্ষয় হয় দ্রুত। তাই এ সব খেয়ে খানিক অপেক্ষা করুন। বরং ভাল করে কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে নেওয়াই যথেষ্ট।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
ব্রাশ: কোন ব্রাশ ব্যবহার করছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শক্ত ব্রিসলের ব্রাশ ব্যবহার করা দাঁতের জন্য খারাপ। ব্রাশ কেনার সময় নজর রাখুন ব্রাশের ধরন কেমন, খুব শক্ত বা খুব নরম কোনও ব্রাশই দাঁতের উপযোগী নয়। বরং দাঁতের এনামেলের জন্য উপকারী এমন ব্রাশ কিনুন। ব্র্যান্ডে না ভুলে কেনার আগে পরামর্শ নিন চিকিৎসকের।
আরও পড়ুন
গলায় কাঁটা বিঁধে আছে? দ্রুত কাঁটা সরান এই সব উপায়ে
টুথপেস্ট: এক একজনের দাঁত এক এক রকমের হয়। প্রত্যেকেরই দাঁতের ধরন আলাদা। দাঁতের রকমফের বুঝে টুথপেস্ট বাছুন। এ ক্ষেত্রেও বিজ্ঞাপনী চমক বা ব্র্যান্ডে না ভুলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ব্রাশের পদ্ধতি: কতটা শক্তি ক্ষয় করে ব্রাশ করেন তার উপরও নির্ভর করে দাঁতের যত্ন। অনেকেরই ধারণা খুব জোরে ব্রাশ করলেই বোধ হয় দাঁত ভাল করে পরিষ্কার হয়। কিন্তু আদতে এর উল্টোটা ঘটে। দাঁতের এনামেলের খুব ক্ষতি হয় অত্যধিক চাপে। মাঝারি চাপে ব্রাশ করার অভ্যাস করলে দেখবেন, দাঁত ঝকঝকেও হবে সঙ্গে এনামেলেরও আর ক্ষতি হবে না।