মাইগ্রেনের ব্যথার প্রকোপে জ্বরও এসে যায়। ছবি: শাটারস্টক।
সামনে পুজো। জমকালো উপায়ে ঠাকুর দেখার পরিকল্পনা, সারা রাত রাস্তায় টইটই, দেদার খাওয়াদাওয়া এ সব তো করতেই হবে, কিন্তু তার জন্য সুস্থ থাকা আগে জরুরি। এ সব পরিকল্পনার মাঝে যদি উঁকি মারে মাইগ্রেনের ব্যথা। তা হলে কিন্তু পুরো আনন্দটাই মাটি।
মাথার অস্বাভাবিক যন্ত্রণা, বমি ও হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া সাধারণত মাইগ্রেনের উপসর্গ। অনেকের আবার এই ব্যথার প্রকোপে জ্বরও এসে যায়। খিদে কমে যাওয়া, যন্ত্রণা থেকে অবসাদ সবই হানা দিতে পারে এই ব্যথা থেকে।
তবে ঠেসে ওষুধ না খেয়ে কিছু উপায় অবলম্বন করলেও এই ব্যথা থেকে দূরে থাকা যায়। মাইগ্রেনের আক্রমণ শুরু হলেও হাতের কাছে ওষুধ না থাকলে এই সব উপায়ে আরাম মিলবে সহজেই। এই নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামী জানালেন এমন কিছু উপায়ের কথা।
আরও পড়ুন
কোলোস্ট্রামের গুরুত্ব কী, এখনও জানেন না অনেকে
মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একটা ভিজে তোয়ালে মিনিট দশেকের জন্য ফ্রিজে রাখুন। তার পর ওই ঠান্ডা তোয়ালে মাথায় ও চোখের উপর রেখে দিন। ধীরে ধীরে কমবে মাইগ্রেনের ব্যথা। চন্দনকাঠের সঙ্গে জল মেশান। চন্দন খুব ঠান্ডা। এই মিশ্রণের প্রলেপ লাগান কপালে। তার পর ঘরের আলো নিভিয়ে বিশ্রাম নিন। সহজেই কমবে ব্যথা।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
আরও পড়ুন
এই নেশার কবলে পড়ে মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৩০ লাখ!
মাইগ্রেনের ব্যথা সারাতে শীতকালে চুটিয়ে খান আঙুরের রস। তবে জল মেশাবেন না এতে। অল্প ব্যথা হলে অন্ধকার ঘরে ঘুমনোর চেষ্টা করুন। আলোর প্রভাবে এই ব্যথা বাড়ে। মাইগ্রেন থাকলে সারা বছরই খুব বেশি ফোন ঘাঁটা, টিভি দেখা বা চোখের উপর চাপ পড়ে এমন কাজ করবেন না। কম্পিউটারের সামনে বসে দীর্ঘ ক্ষণ কাজ করার অভ্যাস থাকলে মাঝে মাঝেই উঠুন। চোখে জল দিন। ব্যবহার করুন এমন চশমা যাতে চোখের উপর চাপ না পড়ে।