ত্বকই নয়, হৃৎপিণ্ড, পেশি, গাঁট— হাজারো সমস্যার মোকাবিলায় সর্ষের তেলের বিকল্প নেই।
এক সময়ে বাংলার ঘরে ঘরে শিশুদের তেল মাখিয়ে রোদে ফেলে রাখার রেওয়াজ ছিল। ধারণা ছিল, সূর্যের ভিটামিন ডি হাড়ের জোর বাড়াবে বাড়ির খুদে সদস্যের। শুধু তা-ই নয়, রোদের উপস্থিতি ত্বকেরও উপকার করবে, এই আশাতেই শিশুদের তেল মাখানোর রীতি ছিল। সেই তেল কিন্তু কোনও বাজারচলতি দামী ব্র্যান্ডের তেল নয়, একেবারে রান্নাঘর থেকে পাওয়া সর্ষের তেল!
চিকিৎসকরাও কিন্তু আগেকার দিনের এই ধারণাগুলোকে ‘মিথ’ বলে উ়়ড়িয়ে দিচ্ছেন না, বরং ত্বক বিশেষজ্ঞ সুমিত সেনের মতে, ব্যান্ডেড তেলের চেয়ে এখনও সর্ষের তেলে আস্থা রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে সেই সর্ষের তেলকেও খাঁটি হতে হবে। শুধু ত্বকই নয়, হৃৎপিণ্ড, পেশি, গাঁট— হাজারো সমস্যার মোকাবিলায় সর্ষের তেলের বিকল্প নেই।
তাই কেবল ইলিশ ভাপা বা মুড়িমাখায় সর্ষের তেল নয়, তা কাজে লাগে নানা রোগ নিরাময়েও। কেমন সে সব?
আরও পড়ুন: বিকেলের ফাস্ট ফুড নষ্ট করছে ডায়েটের সব হিসেব? মেদ ঝরাতে সন্ধেয় খান এ সব
সর্ষের তেল অ্যালার্জি ও র্যাশের হানা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
• ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনতে প্রতি রাতে সম পরিমাণ সর্ষের তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে মিনিট দশেক ধরে মাসাজ করুন। তার পর ভাল করে মুখ ধুয়ে ঘুমোতে গেলে ত্বক যেমন নরম থাকবে, তমনই উজ্জ্বল হবে।
• রোদে ত্বকে ট্যান পড়া স্বাভাবিক। ডার্ক স্পট, ট্যান বা পিগমেন্টেশন ঠেকাতে বেসন, দই, লেবুর রসের সঙ্গে সরষের তেল মিশিয়ে মুখে-ঘাড়ে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তার পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেললে উপকার পাবেন।
• সর্ষের তেলে রয়েছে ভিটামিন এ, ই এবং বি কমপ্লেক্স। ফলে এটি রিংকল কমাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: স্তন ক্যানসার কেন বাড়ছে ভারতে? কী ভাবে বুঝবেন অসুখ শিয়রে, রুখবেন কী করে?
• সানস্ক্রিনে খুব ঘাম হলে বা কোনও ভাবে সানস্ক্রিন বাড়িতে না থাকলে অল্প সর্ষের তেল হাতের তালুতে ঘষে মুখে লাগিয়ে নিলে তা সূর্যের ক্ষতিকারক আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করবে। তবে বেশি তেলে ধুলোবালি ধরে রাখে ত্বক। তাই খেয়াল রাখবেন পরিমাণের প্রতি।
• সর্ষের তেল অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদানে ভরপুর। তাই অ্যালার্জি ও র্যাশের হানা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
• ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি রুখতেও সর্ষের তেল বিশেষ কাজে আসে।