সর্দি-কাশির সমস্যা এড়াতে ঘরোয়া উপায়ে ভরসা রাখুন। ছবি: শাটারস্টক।
এই ঝেঁপে বৃষ্টি, তো এই গুমোট গরম। তার উপর টানা নিম্নচাপে সূর্যের দেখা নেই। এমন আবহাওয়ায় সব থেকে বেশি ভোগায় সর্দি-কাশি। সাধারণ অবস্থায় সর্দি-কাশিকে আমরা খুব একটা আমল দিই না। বাজারচলতি ওষুধেই কাজ সারেন অনেকে। কিন্তু এই অবস্থা দীর্ঘমেয়াদি হলে তখনই সমস্যায় পড়তে হয়। অবহেলার জেরে অসুখের বাড়বাড়ন্ত নাজেহাল করে ছাড়ে। বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট, সঙ্গে জ্বর। এই ভাবেই সাধারণ ঠান্ডা লাগা থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ি আমরা।
সর্দি-কাশির বাড়াবাড়ি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ তো নিতেই হবে, প্রয়োজন পড়তে পারে অ্যান্টিবায়োটিকেরও। কিন্তু প্রথম অবস্থাতেই যদি একটু সচেতন থাকেন, তা হলে ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করলেই সর্দি-কাশির হাত থেকে নিস্তার মিলবে।
ঠিক কোন কোন ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি মিলবে জেনে নিন।
আরও পড়ুন: সন্তান কথা শোনে না? এ সব উপায় মেনে চললে আর অবাধ্য হবে না
চিনি খেতে ভালবাসেন? কী ক্ষতি করছেন জানেন?
অ্যাপল সিডার ভিনিগার ও মধুর মিশ্রণ এই সময় খুব উপকারী। ঈষদুষ্ণ জলে দু’চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগারের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে বার দুয়েক খান। বুকে শ্লেষ্মার সমস্যা কমবে। তুলসি পাতা, বাসক পাতা ও তালমিছরি দিয়ে জল ফোটান। সেই ফোটানো জলে আদার রস মেশান। প্রতি দিন এক কাপ করে এই মিশ্রণ গরম গরম খান। ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কমাবে এই মিশ্রণ। বুকে শ্লেষ্মা বসে থাকলে তা থেকেও দ্রুত নিষ্কৃতি মিলবে। গরম জলে সামান্য নুন ফেলুন। এ বার মাথায় তোয়ালে চাপা দিয়ে, বড় করে শ্বাস নিয়ে, গরম জলের ভাপ নিন। এ ভাবে অন্তত ১০ মিনিট করে দিনে ২ বার করুন, উপকার পাবেন। এর পর পরেই চলন্ত পাখার নীচে চলে আসবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হয়।
শ্লেষ্মায় খুব উপকারী হলুদ। এর অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান শ্বাসনালীর পথ পরিষ্কার করে। প্রতি দিন সকালে কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেলেও ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচা যায়। এক গ্লাস গরম জলে সামান্য হলুদগুঁড়ো মিশিয়ে খান। ভাল ফল পেতে দুধে অল্প হলুদ ফেলে ফোটান। সঙ্গে খানিকটা মধু দিন। দিনে বার তিনেক এই মিশ্রণ খান। মধুর মধ্যেও জীবাণুনাশক নানা উপাদান থাকে। গলা ভেঙে গেলে বা বুকে শ্লেষ্মা থাকলে এই মিশ্রণ খেলে উপকার পাবেন।