পছন্দের মানুষকে বোঝার চেষ্টা করুন প্রথম থেকেই। ছবি: শাটারস্টক।
সদ্য আলাপের পর বার কয়েক দেখা। আর তাতেই মন বলছে, এই সেই মানুষ!
এমন অভিজ্ঞতা অনেকেরই হয়। মনের মানুষ খুঁজে পাওয়ার পর তাঁর ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠার সময়ে সম্পর্কের বেশির ভাগটাই আবেগ দিয়ে বিচার করি আমরা। প্রেম সত্যিই কোনও নিয়ম, যুক্তি বা অঙ্ক মেনে হয় না। কিন্তু মনোবিদরা বলছেন, প্রেম কতটা সফল হবে সেটা বুঝে নেওয়ার মোক্ষম সময় এটাই। সদ্য আলাপের পর পরই বুঝে নিতে পারেন আসলে মানুষটা কেমন!
এই সময় নিজেকে অন্যের চোখে আরও আকর্ষণীয় ও ভাল প্রতিপন্ন করতে অনেকেই চেষ্টা করেন। তাই আবেগকে সরিয়ে কিছুটা বাস্তব ও বোধবুদ্ধি দিয়ে বিচার করুন এই সময়টা। এমনিতেই এক জন মানুষের সঙ্গে সারা জীবন থেকেও তাঁকে ভাল করে চিনে ওঠা যায় না। তা ছাড়া মানুষের বিশ্বাস-অবিশ্বাস, পছন্দ-অপছন্দ সবই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। তবে মূল কিছু স্বভাব ও প্রকৃতি অধিকাংশ সময়ই এক থাকে।
আরও পড়ুন: ঘরের ভিতরের দূষিত বায়ু থেকে বাড়ে সংক্রমণ, সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এ সব উপায়
তাই কাউকে নিজের জীবনে প্রবেশ করানোর আগে তাঁর পছন্দ-অপছন্দ, বিশ্বাস এ সব জানানর পাশাপাশি দেখে নিন আদতে মানুষটি আপনার সঙ্গে সারা জীবন মানিয়ে নিতে পারবেন কি না। তার জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। জানেন কী কী সে সব?
রুচি ও পছন্দ বুঝতে খাবার অর্ডারের ভার ছাড়ুন পছন্দের মানুষের উপর।
বাড়ির কথা: আলাপের প্রথম পর্বেই তাঁর বাড়ির লোকজন নিয়ে যেমন জেনে রাখবেন, তেমনই নিজের বাড়ি, সেখানকার পরিবেশ, এমনকি ছোটখাটো কোনও সমস্যার কথা বললেও ধৈর্য নিয়ে শুনুন। আপনিও ভাগ করতে পারেন তেমন কিছু। সে সবে তাঁর মত, আপনার সমস্যার প্রতি তাঁর যত্ন বা ভাবনা এ সবের কিছুটা আঁচ পাবেন। তবে অবশ্যই প্রথমে খুব বড়সড় সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন না।
খাবার: আলাপের পর পর একসঙ্গে কোথাও খেতে গেলে অর্ডার করার দায়িত্ব দিন তাঁকেই। তিনি আপনার পছন্দ জানতে চাইছেন কি না খেয়াল করুন। এতে তাঁর স্বভাবের যত্নের দিকটি ফুটে উঠবে। যদি তা না করেন তবে তা নিয়ে কখনই রাগারাগি করবেন না, বরং পরে সময় মতো আপনার এই ছোট ছোট চাহিদাগুলো বুঝিয়ে বলুন। তবে আপনার চাওয়া-পাওয়াটুকু পাত্তা না দিলে এই সম্পর্কে যাওয়ার আগে ভাবুন আর এক বার। তবে বেশির ভাগ সময়ই উল্টো দিকের মানুষটার পছন্দ জানতে চান সকলে। আপনার থেকে তিনি তা জানতে চাইলেও অর্ডারের ভার তাঁর উপরই দিন। এতে তাঁর পছন্দ-অপছন্দ বা খাবার অর্ডারে তিনি স্বচ্ছন্দ কি না তাও বুঝতে পারবেন। তেমন বুঝলে তবেই মাঠে নামুন নিজে। তার আগে নয়।
আরও পড়ুন: চুল পাতলা হয়ে টাক পড়ে যাচ্ছে? তা হলে এ সব কারণকে আর অবহেলা নয়
প্রথম থেকেই নিজেদের সুবিধা-অসুবিধা ভাগ করুন।
মতামত: বিভিন্ন পছন্দের বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলুন প্রথম থেকেই। এতে দু’জনের পছন্দ-অপছন্দ, আগ্রহের দিকটা যাচাই করা যাবে। কোন কোন বিষয়ে মেলে, কোথায় গড়মিল তা বোঝা কিছুটা সম্ভব হবে।
আচরণ: শুধু আপনার সঙ্গে নয়, চারপাশের মানুষজন, রাস্তার অচেনা কেউ, ক্যাব ড্রাইভার, রেস্তরাঁর ওয়েটার, ফোনের উল্টো দিকের মানুষ প্রত্যেকের সঙ্গেই তাঁর ব্যবহার লক্ষ করুন। কার সঙ্গে কী ভাবে কথা বলছেন তা থেকে অনেকটাই সেই মানুষটার আসল স্বভাব বোঝা যায়।
পড়াশোনা বা অফিস: নিজের উচ্চশিক্ষা, চাকরি ইত্যাদি নিয়ে কী পরিকল্পনা রয়েছে তা নিয়ে প্রথম থেকেই কথা বলুন। আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এই দিকগুলি নিয়ে তাঁর মতামত বা দৃষ্টিভঙ্গি কী তা জানা দরকার। অফিসের কোনও সমস্যা এলে বা অফিসের কাজের ধরণ, চাপ তা নিয়েও কথা বলতে পারেন। তাতে তাঁর প্রতিক্রিয়া কী হচ্ছে তা দেখেও মানুষটিকে কিছুটা বুঝতে পারবেন।