অপহরণকারীদের চোখে ধুলো দিয়ে কোনওক্রমে খাঁচা খুলে পালান তরুণী। প্রতীকী ছবি।
ফিলিপিন্স ভ্রমণে গিয়ে সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে অপহৃত হন এক চিনা পর্যটক। ফিলিপিন্সের পামপাঙ্গা অঞ্চল থেকে অপহরণ করা হয় তাঁকে। প্রায় তিন সপ্তাহ একটি কুকুরের খাঁচায় ভরে তাঁর উপর প্রবল শারীরিক নির্যাতন চালান অপহরণকারীরা। শেষ পর্যন্ত কোনও ক্রমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন তিনি। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে তাঁকে।
ফিলিপিন্সের বাটনগ্যাস সিটি পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতা চিনের সাংহাইয়ের বাসিন্দা। প্রেমিকের সঙ্গে ফিলিপিন্সে ঘুরতে এসেছিলেন তিনি। একটি ক্লাবে পার্টি করে ফেরার পথে একটি সাদা গাড়িতে চেপে কয়েক জন অপহরণ করেন তাঁকে। পুলিশে অভিযোগ জানান তাঁর প্রেমিক। কিছু দিন পরই প্রেমিকের কাছে একটি ভিডিয়ো আসে। সেখানে দেখা যায়, একটি খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয়েছে তরুণীকে। বেসবল ব্যাট দিয়ে করা হচ্ছে মারধরও। মুক্তিপণ বাবদ প্রায় দেড় কোটি টাকা দাবি করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় একটি স্টিলের কুকুরের খাঁচা। প্রতীকী ছবি।
অপহরণকারীদের চোখে ধুলো দিয়ে কোনওক্রমে খাঁচা খুলে পালান তরুণী। যে বাড়িতে তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল, তার কাছেই একটি স্টেশনারি দোকানে গিয়ে সাহায্য চান তিনি। যোগাযোগ করা হয় প্রশাসনের সঙ্গে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে উদ্ধার করে তাঁকে। যেখানে তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল সেখানেও হানা দেয় পুলিশ। তবে তত ক্ষণে পালিয়ে গিয়েছে অপহরণকারীরা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় একটি স্টিলের কুকুরের খাঁচা। খাঁচাটির ভিতর একটি বালিশ একটি লাল বালতি ছিল। উদ্ধার হয় বেশ কিছু বেসবল ব্যাটও। এই ধরনের ঘটনায় পর্যটন শিল্পে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছে ফিলিপিন্স প্রশাসন।