যত্রতত্র খাওয়ানো যাবে না রাস্তার কুকুরকে। —ফাইল চিত্র
পথের কুকুরদের যদি খাওয়াতেই হয়, তবে নিজের বাড়ির ভিতরে নিয়ে যেতে হবে। অন্য কোথাও খাওয়ানো যাবে না। অন্যথায় করা হবে জরিমানা। পথকুকুরদের খাওয়ানো নিয়ে হওয়া একটি মামলায় এমনই নির্দেশ দিল বম্বে হাই কোর্টের নাগপুর বেঞ্চ। রাস্তার কুকুর হটাতে বাধা দেওয়া যাবে না পুরসভার কর্মীদের, সাফ বলে দিল কোর্ট।
নাগপুরের কিছু অঞ্চলে রাস্তার কুকুর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বৃহস্পতিবার সুনীল সুকরে ও অনিল পনসারের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, “যদি কেউ রাস্তার কুকুরদের খাওয়াতে কিংবা যত্ন নিতে চান, তবে নাগপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে আবেদন করে সরকারি ভাবে কুকুরগুলিকে দত্তক নিতে হবে।” পাশাপাশি, যাঁরা কুকুরদের খাবার খাওয়াতে চান, তাঁদের কুকুরগুলিকে নিজের বাড়ির ভিতরে খাওয়াতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে কোর্ট। অন্যথায় জরিমানা করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিচারপতিরা।
কুকুর নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি বিশেষ সেল খোলা ও সচেতনতামূলক প্রচারেরও পরামর্শ দিয়েছে কোর্ট। —ফাইল চিত্র
দুই বিচারপতি জানান, রাস্তার কুকুর সমস্যা তৈরি করলে সেগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কোনও বাধা নেই প্রশাসনের। বরং কেউ যদি প্রশাসনের কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে নিতে হবে ব্যবস্থা, নির্দেশ কোর্টের। কুকুর নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি বিশেষ সেল খোলা ও সচেতনতামূলক প্রচারেরও পরামর্শ দিয়েছে কোর্ট।
রাস্তার কুকুর নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি করা নিয়ে বহু সময়েই প্রতিবাদ করতে দেখা যায় পশুপ্রেমীদের একাংশকে। অন্য দিকে, সমাজের একটি অংশের দাবি, এতে সমস্যা বাড়ে সাধারণ জনগণের। কিছু দিন আগেই এই বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, চাইলে রাস্তার কুকুর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরাসরি রায় দিতে পারে হাইকোর্টগুলি। মৌখিক ভাবে সর্বোচ্চ আদালত এ-ও জানায় যে, যাঁরা রাস্তায় কুকুরদের খাবার খাওয়ান, তাঁদের উপরেই এই কুকুরগুলিকে টিকা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। তার পরেই এল বম্বে হাই কোর্টের এই নির্দেশ।