ইউপিআই-তে সুরক্ষিত লেনদেনের জন্য কী কী খেয়াল করতে হবে। ছবি: ফ্রিপিক।
কোনও সংস্থার বিল মেটাতে সেটির ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ব্যবহার করতে হয়। প্রতিটি সংস্থার ক্ষেত্রে তা আলাদা। আবার কাউকে অনলাইনে টাকা পাঠাতে হলে মূলত নেট ব্যাঙ্কিং ভরসা। না-হলে আলাদা ওয়ালেটের ব্যবস্থাও আছে। কিন্তু সবই একটি অ্যাপ থেকে করার সুযোগ দিতেই ইউপিআই পরিষেবা চালু হয়েছে। ডিজিটাল লেনদেনে যাঁরা সাবলীল তাঁরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই টাকাপয়সা লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছেন ইউপিআইকে। সে বিদ্যুতের বিল মেটানো হোক বা অনলাইনে শপিং— ইউপিআই-এর চাহিদা তুঙ্গে। কিন্তু জেনে রাখতে হবে, এই জাতীয় ডিজিটাল মাধ্যমে সুরক্ষা যতই থাকুক, প্রতি পদে পদে প্রতারণার আশঙ্কাও আছে। তাই লেনদেনের সময়ে কয়েকটি বিষয় মাথায় না রাখলেই বিপদে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে।
কোন কোন বিষয়ে সতর্ক থাকবেন?
১) ইউপিআই-তে লেনদেনের সময়ে পিন নম্বর দিতে হয়। ৪ বা ৬ সংখ্যার হয় পিন নম্বর। এই নম্বর কাউকে বলবেন না অথবা এমন জায়গায় সেভ করে বা লিখে রাখবেন না, যা অন্যের নজরে পড়ে।
২) ফোনে ইউপিআই বা এই জাতীয় লেনদেনের অ্যাপ ইনস্টল করা থাকলে, সবসময়ে ফোনের ‘স্ক্রিন লক’ করে রাখবেন। ফোনের সেটিংস-এ গিয়ে ‘সিকিউরিটি’ অপশনে গেলেই ফোন লক করার অপশন পেয়ে যাবেন। পিন বা পাসওয়ার্ড দিয়ে ফোন লক করে রাখুন যাতে আপনার ফোন অন্য কারও হাতে গেলেও তারা তা খুলতে না পারে।
৩) লেনদেনের আগে ই-মেলের ধাঁচে তৈরি করে নিন ‘ভার্চুয়াল পেমেন্টস অ্যাড্রেস’ (ভিপিএ)। এটিকে লেনদেনের পরিভাষায় ‘ইউপিআই আইডি’ বলা হয়। এটি মোবাইল নম্বর দিয়ে, অক্ষর বা সংখ্যা দিয়ে তৈরি হয়। যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে তা যুক্ত করেছেন সেটি যাচাই করে নিন। প্রাপকের নামও মিলিয়ে নিন। ভুল জায়গায় টাকাপয়সার লেনদেন হয়ে গেলে প্রতারিত হতে পারেন।
৪) অজানা লিঙ্ক খুলবেন না। ইমেল, এসএমএস বা হোয়াটসঅ্যাপ যেখানেই দেখবেন আকর্ষণীয় অফার দিয়ে লিঙ্ক এসেছে, সেই লিঙ্কে ভুলেও ক্লিক করবেন না। এই ধরনের লিঙ্কের মাধ্যমে ম্যালওয়ার ইনস্টল হয়ে যেতে পারে আপনার ডিভাইসে। আর পলকের অসতর্কতায় ফাঁকা হয়ে যেতে পারে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।
বর্তমানে ইউপিআইতে নিরাপত্তার জন্য পাসওয়ার্ড এবং পিন দেওয়া হয়। কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয়। জালিয়াতরা খুব সহজেই পাসওয়ার্ড বা পিন হ্যাক করতে পারে। এর জায়গায় অনেক বেশি সুরক্ষা দিতে পারে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন। প্রত্যেক ব্যক্তির বায়োমেট্রিক ডেটা আলাদা। পাসওয়ার্ড নকল করা যায়, কিন্তু বায়োমেট্রিক নয়। তাই ইউপিআই-তে লেনদেন করতে হলে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন করিয়ে নেওয়া ভাল।