— প্রতীকী চিত্র।
পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে দু’দিন অন্তর হাত, পা কেটে-ছড়ে আসে সন্তান। গত বছর তো মাঠে খালি পায়ে ফুটবল খেলতে গিয়ে কাচ ফুটে একাকার অবস্থা। চাকুরিরত বাবা-মায়েদের পক্ষে নিত্য দিন এই ঝক্কি সামাল দেওয়া বেশ কষ্টকর। কখন কী বিপদ ঘটে সেই আতঙ্কে স্থির থাকতে পারেন না অনেকে অভিভাবকই। মনে মনে ভাবেন, তার চেয়ে বরং ভিডিয়ো গেম বা মোবাইল ফোন হাতে ধরিয়ে দিলে বাড়ির বাইরে বেরোনোর ঝামেলা থাকবে না। বাড়িতে যে বিপদ ঘটতে পারে না, তা নয়। তবে বাড়ির অন্য সদস্যের চোখের সামনে খুব বেশি কিছু করে উঠতে পারবে না। বড় কোনও বিপদ হওয়ার আগে রুখে দেওয়া যাবে। তবে চিকিৎসকেরা কিন্তু বলছেন অন্য কথা। শিশুদের সাময়িক ক্ষতি হলেও মনের বিকাশ ঘটাতে তাদের ঘরের বাইরে খেলতে পাঠাতেই হবে। আর কী কী উপকার মিলবে?
১) চোখ ভাল থাকবে
মাঠে খোলা আকাশের নীচে খেলাধুলো করলে চোখের স্বাস্থ্য ভাল হয়। এমনিতেই চিকিৎসকেরা বলেন, চোখ ভাল রাখতে সবুজের দিকে তাকিয়ে থাকতে। ঘরের বাইরে সবুজ গাছপালা, নীল আকাশ চোখের পেশি ক্লান্ত হতে দেবে না। বরং চোখ জুড়ে থাকবে প্রশান্তির ছায়া।
২) নতুন কিছু শেখার চেষ্টা
ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে একা খেলাধুলো করলে অন্য কারও সঙ্গে ভাবনা আদানপ্রদানের খুব একটা সুযোগ ঘটে না। সকলের সঙ্গে না মিশলে নতুন কিছু জানার বা শেখারও জায়গা থাকে না।
৩) মেলামেশা করার ক্ষমতা
ভিডিয়ো গেম নির্ভর জীবনে শিশুরা তাদের বয়সি কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশে বড় হয়ে ওঠা বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশা করার সুযোগ পায় না। ফলে তাদের মধ্যে মানিয়ে নেওয়া বা পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার ক্ষমতা তৈরি হয় না।
৪) ভিটামিন ডি
রোদের মধ্যে খেলাধুলো করলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। যা ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে হয় না। শিশুদের হাড়ের জোর মজবুত করতে ভিটামিন অত্যন্ত প্রয়োজন। তবে তার জন্য ওষুধের উপর নির্ভর না করাই ভাল।
৫) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
রোদ, ঝড়, জল মাথায় নিয়ে খেলাধুলো করলে শরীরের প্রতিরোধ শক্তি উন্নত হয়। বাইরের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে শেখে শিশুরা। সাধারণ সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগার মতো সংক্রমণজনিত সমস্যার সঙ্গে মোকাবিলা করতে শেখে শরীর।