—প্রতীকী ছবি।
‘রকি অউর রানি কি প্রেম কহানি’ দেখতে গিয়ে আর কিছু না হোক, এ বার পুজোয় কেমন শাড়ি কিনবেন, তার একটা আন্দাজ আগে থেকেই করে ফেলেছেন। তাঁত, সিল্ক, জামদানি থাক বা না থাক, শিফন থাকবেই। আর অনেক দিনের শখ ক্রপটপ পরার। সেই সাধও এই পুজোতেই মিটিয়ে নেবেন বলেই ভেবেছেন। কিন্তু সিল্কের শাড়ি পরে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, শিফন পরেও তো তা-ই হবে। নিজের অস্বস্তি থেকেই সিল্কের শাড়ি পরে আয়নার সামনে গিয়ে বার বার পিছন ঘুরে দেখেন। ফুলেফেঁপে থাকা কোমর, ঊরুর জন্য খুব চাপা পোশাক পরতে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। মুখে না বললেও জিমে যাওয়া বন্ধুদের নজর গিয়ে পড়ে ও দিকেই। পুজোর আগে মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। এ সময়ে নিয়ম করে কয়েকটি যোগাসন অভ্যাস করতে পারলেই তলদেশের ভার কমতে পারে। ঊরু, পায়ের পেশির টান টান হয়ে উঠতে পারে।
সেতুবন্ধনাসন। ছবি: সংগৃহীত।
১) উৎকটাসন
প্রথমে সমস্থিতির মতো অবস্থানেই দাঁড়ান। তার পর হাঁটু ভেঙে, কোমর সামান্য ঝুঁকিয়ে, শরীরকে চেয়ারের মতো অবস্থায় রাখুন। দুই হাত মাথার উপর তুলে নমস্কার করার ভঙ্গিতে রাখুন। প্রথমে বেশি ক্ষণ না পারলেও ৫ বার করে ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত ধরে রাখার চেষ্টা করুন।
২) বৃক্ষাসন
সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে নিজের দু’টি হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে বুকের কাছে আনুন। তার পর শরীরের ভারসাম্য রেখে নিজের ডান পায়ের হাঁটু ভাজ করে পায়ের পাতাটি বাঁ পায়ের ঊরুর উপর আনুন। ধীরে ধীরে মেরুদণ্ড সোজা রেখে নিজের হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে সমান ভবে মাথার উপর নিয়ে যান। ৩০ সেকেন্ড এই ভঙ্গিতে এক পায়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকুন। স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন ও পা বদল করে নিয়ে পুনরায় করুন। খুব সহজ এই আসনটি ছোট থেকে বড় সকলেই নিয়মিত করতে পারেন।
৩) সেতুবন্ধনাসন
প্রথমে মাটিতে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাঁটু ভাঁজ করে পা দু’টি নিতম্বের কাছে রাখুন। এ বার ধীরে ধীরে মাটি থেকে কোমর তুলে ধরুন। দুই হাত টান টান করে, গোড়ালি স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। এই অবস্থানে ১০ সেকেন্ড থাকুন। ৪ থেকে ৫ বার এই ভাবে অভ্যাস করুন।
৪) জানুশীর্ষাসন
প্রথমে সামনের দিকে পা ছড়িয়ে বসুন। এ বার একটি পা পাশাপাশি ভাঁজ করে অন্য পায়ের কাছে রাখুন। একই পদ্ধতিতে গভীর শ্বাস নিয়ে কোমরের অস্থিসন্ধি থেকে শরীরটা টেনে সামনের দিকে ঝুঁকতে চেষ্টা করুন। যে পা সামনের দিকে ছড়িয়ে রেখেছেন, সেই হাঁটুতে মাথা স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। একই ভাবে দু’পায়ে এটা করার অভ্যাস করুন।
৫) বীরভদ্রাসন
দুই পা দু’দিকে পর্যাপ্ত দূরত্বে ছড়িয়ে দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ান। দু’হাত কান বরাবর উপরের দিকে তুলে নমস্কারের ভঙ্গিতে দাঁড়ান। হাত যেন একদম সোজা ও আকাশের দিকে মুখ করা থাকে। এর পর এক দিকে ঘুরে সেই দিকের হাঁটু ধীরে ধীরে ভাঁজ করুন। পিছনের পা ও শরীর সোজা রেখে উপরের দিকে তাকান। ২০ সেকেন্ড স্থির হয়ে থেকে কুড়ি সেকেন্ড বিশ্রাম নিন, তার পর অন্য দিকে আবার করুন ২০ সেকেন্ডের জন্য।