Female Education

Gender Equality: নারীশিক্ষা বাড়লে কমে যাবে জন্মহার, ক্ষতি হবে অর্থনীতির! দাবি ইউরোপের একটি দেশের

উচ্চশিক্ষায় নারীর সংখ্যা বেড়ে গেলে অসাম্যের শিকার হবেন পুরুষরা। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে এমনই দাবি করল হাঙ্গেরি প্রশাসন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বুদাপেস্ট শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২২ ১৭:৩১
Share:

নারীদের পিছনে ঠেলার কৌশল? ছবি: সংগৃহীত।

উচ্চশিক্ষিত নারীরা বিয়ে করতে ও বেশি সংখ্যক সন্তানধারণে অনিচ্ছুক। তাই-ই নাকি কমে যাচ্ছে দেশের জনসংখ্যা। পাশাপাশি, উচ্চশিক্ষায় নারীর সংখ্যা বেড়ে গেলে অসাম্যের শিকার হবেন পুরুষরা। আর তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে এমনই দাবি করল হাঙ্গেরি প্রশাসন।

Advertisement

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন সম্প্রতি শিক্ষা ও সামাজিক অবস্থা নিয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করে। তবে এত দিন গোপনেই ছিল সেই রিপোর্ট। বৃহস্পতিবার হাঙ্গেরির একটি সংবাদপত্রে ফাঁস হয়ে যায় সেটি। সেখানেই বলা হয়েছে, দেশের উচ্চ শিক্ষায় ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে নারীদের সংখ্যা। শিক্ষাব্যবস্থায় নারীর সংখ্যাবৃদ্ধিকে কটাক্ষ করা হয়েছে ‘গোলাপি শিক্ষাব্যবস্থা’ বলেও। বিতর্কিত ওই রিপোর্টে এ কথাও বলা হয়েছে, নারী শিক্ষায়নের ফলে ‘মেয়েলি’ ভাবনাচিন্তার প্রভাব বেড়ে যেতে পারে সমাজে। আর তা হলে ধাক্কা খাবে লিঙ্গসাম্য।

রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির জন্য এর আগেও ইউরোপের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের তোপের মুখে পড়েছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। সমালোচনার মুখেও অবশ্য নিজের অবস্থানে অনড় এই নেতা। উল্টে ঘোষণা করেন, হাঙ্গেরিকে ‘অনুদার গণতন্ত্র’ হিসাবে গড়ে তুলতে চান তিনি। ২০১০ সালে ক্ষমতায় আসার পরই দেশের সংবিধানে একাধিক পরিবর্তন এনেছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, ধর্মের নামে হরেক রকমের নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিচ্ছেন অরবান। পুরুষতান্ত্রিকতার কট্টর সমর্থক বলেও সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। পরিসংখ্যান বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যভুক্ত দেশগুলির মধ্যে নারী রাজনীতিবিদের সংখ্যার নিরিখে হাঙ্গেরি নীচের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। নতুন রিপোর্ট সেই চিন্তাধারারই প্রতিফলক বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement