ঢাকা দিয়ে রান্না করলে অনেকটা সময় বেঁচে যায় আর গ্যাসের খরচও কমে। ছবি: সংগৃহীত
রান্নার গ্যাসের দাম প্রায় ৯৫০ টাকা ছুঁইছুই। ভোজনরসিক বাঙালি এখন কষিয়ে মাংস রান্না করার আগেও দু’বার ভাবে! হেঁশেলে সিলিন্ডারের জোগান দিতে পকেটে টান পড়ছে মধ্যবিত্তের। কী করলে গ্যাসের সাশ্রয় হবে সেই ভেবেই নাজেহাল?
গ্যাসের সাশ্রয় নিয়ে অনেকেরই কিছু ভ্রান্ত ধারণা আছে। তাতে সিলিন্ডার বাঁচে কম, শ্রম বাড়ে বেশি। বরং একটু বুদ্ধি খাটিয়ে সিলিন্ডার খরচ করলে রান্নার গ্যাসের সাশ্রয় হয় অনেকটাই। রইল তারই হদিশ।
১) নজর রাখুন পাইপ, রেগুলেটর বা বার্নারে কোনও লিক হচ্ছে কি না। ছোটখাটো লিকও যদি চোখ এড়িয়ে যায়, তা হলে গ্যাসের খরচ তো বাড়বেই উপরন্তু বড় রকম বিপদও ঘটে যেতে পারে।
২) কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেরই গ্যাসের আঁচ বাড়িয়ে রান্না করার অভ্যাস। এতে গ্যাসের খরচ কিন্তু বে়ড়ে যায়। অল্প আঁচে রান্না করার অভ্যাস করুন। গ্যাস বাড়িয়ে রান্না করলে জ্বালানির খরচ যেমন বাড়ে, তেমনই খাদ্যগুণও নষ্ট হয়ে যায়। কম আঁচে রান্না করা পকেট এবং স্বাস্থ্য, দুয়ের জন্যই ভাল।
৩) সব রান্নাতেই কম বেশি জলের ব্যবহার করতেই হয়। প্রতিটি পদ রান্না করার আগে আলাদা ভাবে জল ফোটাবেন না। একবারেই জল ফুটিয়ে নিন। তার পর একটি বড় ফ্লাস্কে ভরে রাখুন।
প্রতীকী ছবি
৪) ঢাকা দিয়ে রান্না করলে অনেকটা সময় বেঁচে যায়। গ্যাসের খরচও কমে। হেঁশেলে প্রেশার কুকারের ব্যবহার বাড়ান। অনেকেই মনে করেন, কুকারে রান্না করলে তেমন স্বাদ হয় না। কুকারে রান্না করতে হলে একটু বেশি জল দিতে লাগে। কষা রান্না খেতে চাইলে কুকারের ঢাকনা খুলে ঝোল শুকিয়ে নিলেই হল।
৫) ভেজা পাত্র কখনই গ্যাসের উপর রাখবেন না। এতে অনেকটা গ্যাস নষ্ট হয়। যে কোনও পাত্র কিংবা কড়াই ভাল করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে তবেই গ্যাসের আঁচে বসান।
৬) সরাসরি ফ্রিজ থেকে বার করে কোনও খাবার গরম করবেন না। এতে খাবার গরম হতে অনেকটা সময় লাগে। গ্যাসের অপচয় হয়। গরম করার ঘণ্টা খানেক আগে ফ্রিজে থেকে খাবার বার করে রাখুন।
৭) বার্নার থেকে হলুদ বা কমলা রঙের শিখা বেরোলে বুঝতে হবে যে তাতে সামান্য কার্বন জমা হয়েছে। মাসে অন্তত এক বার বার্নার পরিষ্কার করতে হবে। এতে জ্বালানির সাশ্রয় হবে। শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট সময় অন্তর লোক ডেকে গ্যাসের পাইপলাইনও পরিষ্কার করাতে হবে।
৮) ডাল, চাল সেদ্ধ হতে অনেকটা সময় লাগে। আগে থেকে ভিজিয়ে রেখে দিলে ডাল, চাল কিংবা যে কোনও দানা শষ্য সেদ্ধ হতে কম সময় লাগে। ফলে গ্যাসের খরচ কম হয়।