আপনি কি অতিরিক্ত স্ট্রেসের সমস্যায় ভুগছেন? রোজ অফিসে আসেন, কিন্তু কাজে মন বসেনা? কিছুই করতে ভাল লাগছে না? কাজের চাপ আর ব্যস্ততায় এই সমস্যায় ভুগছে বর্তমান প্রজন্ম। দৈনন্দিন ব্যস্ততার মাঝেও স্ট্রেস কাটিয়ে মনকে ফুরফুরে আর চাঙ্গা রাখার উপায় বাতলালেন বিশেষজ্ঞেরা।
আমেরিকার ‘কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটি’র বিশেষজ্ঞেরা কয়েকজন ছাত্রের উপর একটি পরীক্ষা করে জানাচ্ছেন, কাজ শুরু করার আগেই সেই কাজের চাপ এবং কাজটি কখন শেষ হবে, এই ভেবে ভয় পায় মানুষ। ফলে শুরুতেই মনে বাসা বাধে অবসাদ। তাই কাজে মন বসানোর সবচেয়ে সহজ ট্রিকই হল কাজটিকে সহজ মনে করা। প্রথমেই টার্গেটের দিকে নজর না রেখে কাজের দিকে পুরোপুরি মনোসংযোগ করা।
স্ট্রেস কাটানোর সবচেয়ে বড় উপায় হল, যে কোনও কাজকেই চ্যালেঞ্জিং মনে করা। মনোবিদেরা জানাচ্ছেন, আপনার হাতে যদি কোনও বড় প্রজেক্ট থাকে তাহলে সেটিকে ছোট ছোট ভাগে ভেঙে নিন। কাজের সময় আপনার মনের মতো করে সাজিয়ে নিন। এ বার কাজটি শুরু করুন। অনেক এনার্জি পাবেন।
কাজের বিষয়ের বাইরেও পড়াশোনা করার অভ্যাস থাকলে সেটা মন ভাল রাখতে খুবই সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, কাজের চিন্তা কমাতে প্রতিদিন নিয়ম করে একটা নির্দিষ্ট সময়ে বই পড়ার অভ্যাস রাখুন। তাতে কাজে মন বসে খুব তাড়াতাড়ি। মনও অনেক ফুরফুরে থাকে।
অফিসে গিয়ে বসেছেন, কিন্তু কাজ শুরুই করতে পারছেন না। মনে চিন্তারা যেন ডিসকো করছে। কী করবেন? মনকে ফের চাঙ্গা করতে নিজের পছন্দের গান শুনুন, মনোবিদদের মতে, এই টোটকা মন্ত্রের মতো কাজ করে।
অতিরিক্ত স্ট্রেসড হলে কাজে দেরি হয়। অনেক সহজ কাজও শেষ হতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সময় লাগে। ফলাফল, বসের বকুনি। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, আপনার পছন্দের মানুষদের সঙ্গেকিছু সময় গল্প করে নিন। তাহলে মন ফের চাঙ্গা হয়ে উঠবে। কাজে গতি আসবে।
৩০ মিনিটের ছোট্ট ঘুম, যাকে বলে ‘পাওয়ার ন্যাপ’ স্ট্রেস কাটাতে সাহায্য করে। কাজে একঘেয়েমি আসে না। তবে অবশ্যই কাজের গুরুত্ব এবং সময় সুযোগ বুঝে।
আপনার হাতে কাজেরপাহাড় জমে আছে। হাত অনবরত চলছে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের কিবোর্ডে। কিছুক্ষণ পরেই দেখবেন আর কাজ করতে ভাল লাগছে না। অথচ, টার্গেট শেষ না হলে চাকরি নিয়ে টানাটানি। সহজ উপায় হল কাজের ফাঁকে বিরতি নিন। একটানা কাজ না করে মাঝে ৫ থেকে ১০ মিনিটের বিরতি মন ভাল রাখতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
সবসময় পজিটিভ চিন্তা করুন। নিজের ছোট ছোট সাফল্যগুলোকে সেলিব্রেট করুন। মনে করুন এই সাফল্য শুধু আপনারই জন্য। একমাত্র আপনিই এই কাজটা করতে পারতেন। এই ভাবনা মনে অবসাদ বাসা বাধতে দেয় না। ফলে সবসময় কাজ করার উৎসাহ থাকে।