মেয়েদের গর্ভপাতের হক কতটা জরুরি? ছবি-প্রতীকী
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মহিলারা চাইলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে ওষুধের ব্যবহারে বাড়িতেই করতে পারেন গর্ভপাত।
কোভিড পরিস্থিতিতে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর থেকে চাপ কমাতে প্রাথমিক ভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এখন দুই দেশের মহিলারা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার দশ সপ্তাহ পর্যন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেয়ে গর্ভপাত করতে চাইলে আইনি বাধা আর থাকল না! দু’টি ওষুধেই কাজ হবে।
স্কটল্যান্ডে ইতিমধ্যেই এই আইন চালু করা হয়েছে। ওয়েলসে এই বছরের প্রথম দিকেই এই আইন চালু প্রস্তাব উঠলেও এত দিনে চালু হল নয়া বিধি। তবে ইচ্ছা করলেই বাড়িতে ওষুধ কিনে খাওয়া যাবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে গর্ভপাত করলে তা বেআইনি বলেই মানা হবে।
কোন দাওয়াইয়ে কাজ হবে?
এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা মিফেপ্রিস্টোন জাতীয় একটি ওষুধ খেলে অন্তঃসত্ত্বা সময়কালীন সব হরমোনের নিঃসরণ হয়, সেইগুলির উৎপাদন বন্ধ করে। প্রথম ওষুধটি খাওয়ার ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আর একটি ওষুধ খেলে জরায়ু সঙ্কুচিক হয়ে চাপ তৈরি হয় আর সেই কারণেই গর্ভপাত হয়।
যখন আমেরিকায় গর্ভপাত আইন নিয়ে চলছে হইচই, সেই সময়ে ব্রিটেনের দুই দেশে এমন আইনকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত এক জন নারীর নিজস্ব। এক মাত্র তাঁর চিকিৎসক এ নিয়ে পরামর্শ দিতে পারেন। যদি স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার কোনও আশঙ্কা থাকে, শুধু তখনই আলোচনা সম্ভব। কিন্তু এ নিয়ে রাষ্ট্রের মতামতের কোনও জায়গাই নেই। এই আইন আরও আগেই আসা প্রয়োজন ছিল।