Bizarre News

কোটিপতি সারমেয়র দল! ২৬ বিঘা জমির মালিকদের জন্য ভূরিভোজের আয়োজন থাকে রোজ! কোথায় জানেন?

কুশকল গ্রামে প্রায় ২০০টি কুকুর থাকে। তবে আর পাঁচটা পথকুকুরের মতো নয়, তাঁদের হাবভাবে যেন নবাবি কায়দা স্পষ্ট। আর হবে না-ই বা কেন? প্রায় ২৬ বিঘা জমির মালিক তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২২ ১২:২৩
Share:

গ্রামবাসীদের মতে, প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ বছর আগে থেকে এই জমির মালিকানা কুকুরদের। প্রতীকী ছবি।

গুজরাতের কুশকল গ্রামের সারমেয়রা আদতে কোটিপতি। শুনতে অবাক লাগছে? ভাবছেন বুঝি মশকরা করছি! তবে এমনটা কিন্তু নয়। মুঘল নবাবদের দৌলতে সেই গ্রামের কুকুরদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে নির্দিষ্ট জমি, রয়েছে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও। সেই গ্রামের বাসিন্দাদের কুকুরদের খাবার পরিবেশন করা তাঁদের ইচ্ছের উপর নির্ভর করে না, ওটা তাঁদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।

Advertisement

কুশকল গ্রামে প্রায় ২০০টি কুকুর থাকে। তবে আর পাঁচটা পথকুকুরের মতো নয়। তাঁদের হাবভাবে যেন নবাবি কায়দা স্পষ্ট। আর হবে না-ই বা কেন? প্রায় ২৬ বিঘা জমির মালিক তারা। সেই জমির মূল্য হবে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। ২৬ বিঘা জমি ‘সমস্ত গাঁও কুটরানি’— ১২ সদস্যের কমিটির নামে রেজিস্ট্রি করা রয়েছে। এই কমিটিই সব কুকুরদের রক্ষণাবেক্ষণ করে। কমিটির সদস্যরা জমির অভিভাবক রূপে দায়িত্ব পালন করে মাত্র, জমির মালিকানার তাঁদের হাতে নেই।

কুশকল গ্রামে প্রায় ২০০ টি কুকুর থাকে। প্রতীকী ছবি।

গ্রামবাসীদের মতে, প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ বছর আগে থেকে এই জমির মালিকানা কুকুরদের। মুঘল রাজত্বকালে গ্রামবাসীদের কুকুরদের খাওয়ানোর সামর্থ্য ছিল না। নবাবের কাছে এই বিষয়ে সাহায্য চাইলে নবাব তালিব মহম্মদ খান এক খণ্ড জমি লিখে দেয় তাদের নামে। যত দিন গড়াচ্ছে সেই জমির মূল্য ততই বাড়ছে। গ্রামবাসীরা সেই জমিতে প্রতি বছর ফসল ফলায়। আর সেই ফসলের টাকা সবটাই ব্যবহার করা হয় কুকুরদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। গ্রামের প্রতি বাড়িতেই পালা করে কুকুরদের জন্য খাবার তৈরির দায়িত্ব ভাগ করা আছে। উৎসবের দিনগুলিতে থাকে ভূরিভোজের আয়োজন। খিচুড়ি, হালুয়া, দুধ আরও কত কী!

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement