প্রায় এক মাস ধরে নাকের ভিতর থাকা জীবিত জোঁক দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন চিকিৎসকরাও। ছবি: সংগৃহীত
কয়েক দিন ধরেই নাকের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা রামলাল। ৫৫ বছর বয়সি ওই প্রৌঢ় ব্যথা সহ্য করতে না পেরে, চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। এক্স-রে করতেই বোঝা গেল ব্যথার কারণ। নাকের ভিতরে রয়েছে ৬ ইঞ্চি জোঁক।
উত্তরাখণ্ডের তেহরি হিন্দোলাখাল ব্লকের বাসিন্দা রাম লালের গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই নাক থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল। প্রথমে বিষয়টিকে ততটাও পাত্তা দেননি তিনি। অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার কারণেই এমন হচ্ছে বলে মনে হয়েছিল রামলালের। অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলে একাধিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। কেউই ব্যথার কারণ ধরতে পারছিলেন না। ক্রমশ রামলালের শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে।
এক দিন সকালে ব্যথায় থাকতে না পেরে স্থানীয় হাসপাতালে যান রামলাল। হাসপাতালের চিকিৎসকরা রামলালকে প্রথমে ভর্তি করিয় নেন। তার পর শুরু হয় পরীক্ষানিরীক্ষা। তাতেই জানা যায়, রামলালের নাকের ভিতর বাসা বেঁধেছে জোঁক। রক্ত চুষে নেওয়ার কারণে নাকের ভিতরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল।
প্রায় এক মাস ধরে নাকের ভিতর থাকা জীবিত জোঁক দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন চিকিৎসকরাও। বেশ অনেক ক্ষণের চেষ্টায় রামলালের নাকের ভিতর থেকে জোঁকটিকে বার করা হয়। জোঁকটি বেরিয়ে যাওয়ায় সুস্থ বোধ করেন রামলাল। সে দিনই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
নাকের ভিতর জোঁকটি কী ভাবে ঢুকল তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। রামলাল উত্তরে জানিয়েছেন, তাঁদের জল খাওয়ার একমাত্র উৎস পাহাড়ি ঝর্না। মুখ বাড়িয়ে হাঁ করে জল খাওয়ার সময়ই কোনও ভাবে তাঁর নাকে হয়তো জোঁকটি ঢুকে গিয়েছে।
চিকিৎসকদের ধারণা, জোঁকটি যখন রামলালের নাকে ঢুকেছিল, তখন এত বড় ছিল না। গত এক মাস ধরে রক্ত খেয়ে আড়েবহরে বড় হয়েছে। তবে বাঁচোয়া যে, জোঁকটি রামলালের শ্বাসনালিতে ঢুকে যায়নি। তেমন হলে রামলালকে বাঁচানো কঠিন হত।