রোগী দেখছেন চিকিৎসক। ছবি: উদিত সিংহ
প্রশ্ন: মানুষের শরীরে চোখ একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল অঙ্গ। চোখের ক্ষেত্রে প্রধান কোন রোগগুলি নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে?
উত্তর: সত্যই চোখ মানুষের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চোখের উপরে আমাদের জীবনযাত্রা অনেকটাই নির্ভর করে। চোখে কেমন দেখছি, কী ভাবে দেখছি, আদৌ দেখতে পাচ্ছি কি না এর উপরে আমরা কেমন আছি তা বোঝা যায়। অন্যান্য অঙ্গের মতো চোখেরও বেশ কয়েক ধরনের রোগ দেখা যায়। যার মধ্যে অতি পরিচিত একটি রোগ হল ছানি। যার ইংরেজি নাম ক্যাটার্যাক্ট। এ ছাড়াও চোখের আরও কিছু রোগ দেখা যায়। তার মধ্যে দু’টি অন্যতম রোগ হল গ্লুকোমা এবং রেটিনোপ্যাথি।
প্রশ্ন: উল্লেখিত রোগগুলির মধ্যে মারাত্মক রোগ কোনটি?
উত্তর: প্রথমেই বলে রাখা দরকার উপরে যে রোগগুলির কথা বলা হয়েছে, সবগুলির চিকিৎসা রয়েছে। মানে, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যদি রোগী সচেতন হয়ে ঠিক সময়ে চিকিৎসা করান, তা হলে মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা কম থাকে। গ্লুকোমার ক্ষেত্রেও যদি ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করানো যায় তা হলে ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটাই কম থাকে। অন্য রোগগুলির ক্ষেত্রে ওষুধ বা অস্ত্রোপচার করালে সমস্যা অনেকটাই মিটে যায়। ছানির ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান।
প্রশ্ন: গ্লুকোমা রোগটি কি? কী ভাবে বোঝা যাবে রোগী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন?
উত্তর: গ্লুকোমা রোগটি দুই ধরনের হয়। এই রোগের কয়েকটি লক্ষণ রয়েছে। গ্লুকোমা ভেদে লক্ষণগুলি আলাদা হয়। প্রথমত, এই রোগ হলে চোখে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। আবার আর এক প্রকার গ্লুকোমা হয়, যাতে চোখে ব্যথা হয় না। যে গ্লুকোমায় ব্যথা হয়, তাতে রোগীর বুঝতে সুবিধা হয় চোখে কোনও সমস্যা হচ্ছে। কারণ, ব্যথা হলেই রোগী চিকিৎসকের কাছে ছুটে যাবেন। ডাক্তারবাবু পরীক্ষা করে যদি গ্লুকোমা বুঝতে পারেন তা হলে চিকিৎসা শুরু করতে পারেন।
এক নজরে
• গ্লুকোমা দুই ধরনের হয়। এক ধরনের গ্লুকোমায় চোখে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। অন্য ধরনে ব্যথা হয় না।
• ব্যথাহীন গ্লুকোমায় ধীরে ধীরে অপটিক নার্ভগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। রোগী হঠাৎ ঝাপসা দেখতে শুরু করেন।
• ডায়াবিটিস, হাইপারটেনশন, বংশগত কারণ, পুষ্টির অভাব, অত্যধিক ধূমপান, শিশু গর্ভে থাকার সময়ে মায়ের ‘রুবেলা’ হলে গ্লুকোমার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
• ডায়াবিটিসের কারণে রেটিনার রক্তনালি সরু ও বন্ধ হয়ে গেলে অক্সিজেনের অভাবে ব্যথা হয়, জল জমে যায়। একে রেটিনোপ্যাথি বলে।
• শিশুদের চোখের মধ্যে জল জমার থলি থেকে ডাক্রায়োসিসটিটিস রোগ হতে পারে। ভিটামিন এ-এর অভাবে কেরাটোমালাশিয়া নামেও একটি রোগ হয়।
• শিশুদের দৃষ্টির পরিধি বাড়াতে হবে। তাদের মাঠে নিয়ে যেতে হবে। সবুজ খোলা মাঠে নিয়ে গেলে দৃষ্টির পরিধি বাড়বে।
• ছোটদের সামলে রাখুন। তারা যেন কখনই একা একা বাজি না ফাটায়। বাজি ফাটালেও খুব দূর থেকে সাবধানে। বাজি ফাটানোর পরে হাতে বারুদ লেগে থাকে। সেই হাত চোখে যেন না লাগে। আগেই হাত ধুইয়ে দিন। স্প্লিন্টার ঢুকে গেলে জল না দেওয়াই ভাল। এতে চোখে সংক্রমণ হতে পারে। দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।
প্রশ্ন: ব্যথাহীন গ্লুকোমা হলে রোগী কী করে তা বুঝতে পারবেন?
উত্তর: এই ধরনের গ্লুকোমা কে বলে ‘ওপেন অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমা’। এই গ্লুকোমা কোন লক্ষণ প্রকাশ করে না। ধীরে ধীরে অপটিক নার্ভগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এই রোগের প্রকাশও হঠাৎ ঘটে। রোগী হঠাৎ করে চোখে ঝাপসা দেখতে শুরু করেন। তাই চোখে হঠাৎ করে ঝাপসা দেখতে শুরু করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
প্রশ্ন: চোখের এই রোগগুলির কারণ কি?
উত্তর: এক কথায় এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। গ্লুকোমা-সহ চোখের রোগগুলির কারণ অনেক। প্রথমে বলা যায় পরিচিত দু’টি সমস্যার কথা— ডায়াবিটিস, হাইপারটেনশন। এর থেকে চোখের নানা সমস্যা তৈরি হয়। বংশগত কারণেও চোখে নানা রোগ হতে পারে। এ ছাড়াও পুষ্টির অভাব, অত্যধিক ধূমপান করলেও চোখের সমস্যা আসতে পারে। শিশু যখন মায়ের গর্ভে থাকে সেই সময় মায়ের যদি ‘রুবেলা’ রোগ হয় তা হলেও শিশু অবস্থা থেকেই চোখের নানা রোগ হতে পারে।
প্রশ্ন: এই রোগগুলির কি চিকিৎসা সম্ভব?
উত্তর: আগেই বলেছি চিকিৎসা সম্ভব। গ্লুকোমা পুরোপুরি প্রতিরোধ করা যায় না। তবে সময়ে চিকিৎসা করালে রোগের বাড়বাড়ন্ত হয় না। গ্লুকোমার কারণে অপটিক স্নায়ুর ক্ষতি হওয়া বা অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা যায়। এ ক্ষেত্রে আমরা বলি, গ্লুকোমা থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করবেন, বিশেষ করে ৪০ বছরের পর থেকে। আগেই বলেছি বংশগত ভাবে অনেক সময় চোখের রোগ হতে পারে। তাই, পরিবারে গ্লুকোমার ইতিহাস থাকলে সতর্ক হতে হবে। চোখে আঘাত, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস ইত্যাদিও গ্লুকোমার কারণ হতে পারে। সুতরাং এই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। রেটিনোপ্যাথির ক্ষেত্রেও একই ভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রশ্ন: রেটিনোপ্যাথি কী?
উত্তর: চোখের ভিতরে রেটিনা রয়েছে। বস্তু থেকে প্রতিফলিত আলোকরশ্মি চোখের ভেতর ঢুকে রেটিনার উপরে ওই বস্তুর প্রতিবিম্ব তৈরি করে। ফলে বস্তুটি আমরা দেখতে পাই। রেটিনা হল চোখের সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশ। এখানে কোনও সমস্যা হলেই আমাদের দেখতে সমস্যা হয়। ডায়াবিটিস রোগের জন্য যদি রেটিনার সমস্যা হয়, তাকে রেটিনোপ্যাথি বলা হয়। ডায়বিটিস হলে শরীরের নানা জায়গায় ছোট রক্তনালিগুলি সরু ও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ ভাবে রেটিনার রক্তনালি সরু ও বন্ধ হয়ে গেলে রেটিনায় অক্সিজেনের অভাবে পুষ্টির সমস্যা হয়। ফলে ব্যথা হয় এবং রেটিনায় জল জমে যায়। এতে দেখতে সমস্যা হয়।
প্রশ্ন: এই রোগের উপসর্গ কী? চিকিৎসাই বা কী?
উত্র: হঠাৎ দৃষ্টি কমে যাওয়া, চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা এই রোগের প্রধান উপসর্গ। এই সব সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসার পাশাপাশি সুষম আহার, নিয়মিত সুগারের পরীক্ষা করানো উচিত।
প্রশ্ন: গ্লুকোমা বা রেটিনোপ্যাথির ক্ষেত্রে কী ভাবে চিকিৎসা করা হয়?
উত্তর: গ্লুকোমার চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয় নানা ধরনের চোখের ড্রপ। কখনও লেজার, কখনও শল্য-চিকিৎসার সাহায্য নেওয়া হয়। ঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে অন্ধত্বের থেকে বা চোখের অন্য কোনও ক্ষতি থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি।
প্রশ্ন: শিশুদের ক্ষেত্রে চোখের প্রধান রোগ কোনগুলি?
উত্তর: ডাক্রায়োসিসটিটিস নামে একটি রোগ শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। চোখের মধ্যে জল জমার থলি থাকে। সেখানে থেকেই সমস্যা শুরু হতে দেখা যায়। এ ছাড়াও কেরাটোমালাশিয়া নামেও একটি রোগ হয়। সাধারণত ভিটামিন এ-এর অভাবে এই রোগ হয়।
প্রশ্ন: শিশুদের ক্ষেত্রে এখন হাইপাওয়ারের চশমা অনেকের চোখেই দেখা যায়। এর কারণ কী?
উত্তর: এই বিষয়ে প্রথমেই বলা হবে ‘নিয়ার ভিশন এনগেজমেন্ট’-এর কথা। শিশু অবস্থায় চোখের মণি ছোট থাকে। ১০ থেকে ১২ বছর বয়সে এই মণি ধীরে ধীরে বড় হয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে পড়াশোনা, কম্পিউটার, মোবাইল-সহ একাধিক কারণে বাচ্চারা খুব কাছাকাছির দৃষ্টিতে অভ্যস্থ হয়ে পড়ে। ফলে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাদের মণির বৃদ্ধিতে বিঘ্ন ঘটে। ফলে শিশুদের চোখের সমস্যা হয়।
প্রশ্ন: এই সমস্যা থেকে মুক্তির পাওয়ার উপায় কী?
উত্তর: শিশুদের দৃষ্টির পরিধি বাড়াতে হবে। তাদের মাঠে নিয়ে যেতে হবে। সবুজ খোলা মাঠে নিয়ে গেলে দৃষ্টির পরিধি বাড়বে। খুব বেশি সময় মোবাইল ব্যবহার না করতে দেওয়ার মতো বিষয়গুলি খেয়াল রাখতে হবে।
প্রশ্ন: সার্বিক ভাবে চোখ ভাল রাখতে কী সাবধানতা নিতে হবে?
উত্তর: অন্যান্য বিষয় ছাড়াও আগে যেটা দরকার সুষম আহার। যদি পরিপাক ঠিকঠাক না হয় তা হলেও চোখে প্রভাব পড়ে। এ ছাড়াও আগেই বলেছি ডায়াবিটিস, হাইপারটেনশন-সহ একাধিক কারণে চোখে ক্ষতি হয়। সুতরাং এগুলি থেকে সাবধান থাকতে হবে। চোখে আঘাত যাতে না লাগে সেই বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে। চোখের যে কোন সমস্যা হচ্ছে মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রশ্ন: যাঁরা সারা দিন কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন, তাঁরা কী ভাবে সতর্ক হবেন?
উত্তর: তাঁদের কাজের মাঝে চোখকে বিশ্রাম দিতে হবে। মাঝেমধ্যে পরিষ্কার জলের ঝাপটা দিতে হবে।
প্রশ্ন: শিশুরা কী ভাবে নিজেদের চোখ নিয়ে সচেতন হবে?
উত্তর: এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই বিষয়ে আমি একটি কথা বলতে চাই। অন্যান্য নানা শারীরিক সমস্যা নিয়ে আমরা স্কুলস্তর থেকে নানা সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করি। চোখের ক্ষেত্রে এই ধরনের সচেতনতা নিয়ে অনুষ্ঠান বেশি করে করতে হবে। তা হলে শিশুরা নিজেদের চোখ সম্পর্কে জানতে পারবে। নিজের চোখে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না বুঝতে পারবে, বাবা-মা কে ঠিক সময়ে বলতে পারবে। বাবা-মা কে ঠিক সময়ে সমস্যা জানালে তাঁদের পক্ষেও দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া সুবিধা হবে। পাশাপাশি চোখ ঠিক রাখার জন্য কি কি করা জরুরি তাও শিশু বয়সে শিখিয়ে দেওয়া ভাল। এতে ভবিষ্যতে উপকার হবে।
প্রশ্ন: অনেকের চোখে পাওয়ার থাকে। কিন্তু এক বার চশমা নিলে তাঁরা আর ডাক্তারের কাছে যান না। কত দিন অন্তর পাওয়ার পরীক্ষা করা দরকার?
উত্তর: এটি খুব মারাত্মক প্রবণতা। যাঁদের চোখে পাওয়ারের সমস্যা আছে, তাঁদের উচিত বছরে অন্তত এক বার করে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চোখ পরীক্ষা করে আসা।
প্রশ্ন: এ বার একটু অন্য বিষয়ে আসি, বর্ধমানে চক্ষুদান কতটা কার্যকরী। সাধারণ মানুষ কি চক্ষুদানের বিষয়টি গ্রহণ করছে?
উত্তর: চক্ষুদান খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। মৃত্যুর পরে আপনার দান করা একটি চোখ দিয়ে অন্য এক জন দৃষ্টি ফিরে পাবে। এর থেকে ভাল আর কি হতে পারে! আমাদের সকলের উচিত চক্ষুদানে এগিয়ে আসা। মানুষও এই বিষয়ে সচেতন হচ্ছে। অনেকেই আমাদের কাছে আসছেন চক্ষুদান বিষয়ে জানতে।
প্রশ্ন: যে কোনও বয়সের চোখ কি নেওয়া যায়?
উত্তর: একবারের শিশুদের চোখ নেওয়া হয় না। তার পর থেকে ৭০ বছরের মানুষের চোখ নিয়ে অন্যের শরীরে তা প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। তবে হেপাটাইটিস, ক্যানসার, সেপটিসেমিয়া, এইচআইভি ইত্যাদি যদি কারও হয় তা হলে আমরা সেই চোখ গ্রহণ করি না।
প্রশ্ন: আপনি তো বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে অনেকে দিন থেকে যুক্ত রয়েছেন। বর্ধমানের মানুষ কতটা চক্ষুদানে উৎসাহী?
উত্তর: অনেকটাই। প্রাপ্তবয়স্কেরা অনেকেই চক্ষুদান নিয়ে খোঁজখবর নিতে আমাদের কাছে আসেন। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এর জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো না থাকায় আমরা কলকাতায় যাওয়ার কথা বলি। তবে শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই কাজ করছে। আমরা তাদের কাছে উৎসাহীদের যেতে বলি।
প্রশ্ন: সামনেই তো দীপাবলি। বাজির উৎসব। বাজি ফাটাতে গিয়ে অনেক সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে। তাতে চোখেরও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে ক্ষেত্রে কী করনীয়?
উত্তর: এ ক্ষেত্রে আগে বলব, ছোটদের সামলে রাখুন। তারা যেন কখনই একা একা বাজি না ফাটায়। বাজি ফাটালেও খুব দূর থেকে সাবধানে। বাজি ফাটানোর পরে হাতে বারুদ লেগে থাকে। সেই হাত চোখে যেন না লাগে। আগেই হাত ধুইয়ে দিন।
প্রশ্ন: বাজি ফেটে চোখে আগুনের ফুলকি বা স্প্লিন্টার ঢুকে গেলে প্রাথমিক ভাবে কী করনীয়?
উত্তর: অনেকেই এই সময় চোখে জলের ঝাপটা দেন। আমি বলব জল না দেওয়াই ভাল। কারণ, এ ক্ষেত্রে চোখের ভিতর স্প্লিন্টার ঢুকে গিয়ে চোখে সংক্রমণ হতে পারে। আগে উচিত চিকিৎসকের কাছে ছুটে যাওয়া।
প্রশ্ন: এই রকম হলে কি চোখের বড় কোন ক্ষতি হতে পারে?
উত্তর: অবশ্যই। এই রকম ক্ষেত্রে চোখের মণি ব্যাপক ভাবে ক্ষতি হয়। অনেকে সময় চোখের মণি ফেটে যেতে পারে। তাই আগেই বলেছি, আবার বলছি। সবার আগে উচিত দ্রুত চিকিৎসকের কাছে চলে যাওয়া।
সাক্ষাৎকার: সুপ্রকাশ চৌধুরী