কলকাতা কি নিষিদ্ধ যৌনতায় মজেছে? কী বলছে সমীক্ষা?

‘ওয়াইফ সোয়াইপিং এখন বাস্তব ঘটনা।’— কয়েক বছর আগে এক ছবির সূত্রে বলেছিলেন অভিনেত্রী পাওলি দাম। ‘লভ গেমস’ নামে তাঁর একটি ছবির চিত্রনাট্য ছিল বউ বদল নিয়েই। কিন্তু সত্যিই কি আপনার শহরেও প্রতিনিয়ত লেখা হচ্ছে বউ বদলের নয়া কাহিনি?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৬ ১৪:০৪
Share:

‘ওয়াইফ সোয়াইপিং এখন বাস্তব ঘটনা।’— কয়েক বছর আগে এক ছবির সূত্রে বলেছিলেন অভিনেত্রী পাওলি দাম। ‘লভ গেমস’ নামে তাঁর একটি ছবির চিত্রনাট্য ছিল বউ বদল নিয়েই।

Advertisement

কিন্তু সত্যিই কি আপনার শহরেও প্রতিনিয়ত লেখা হচ্ছে বউ বদলের নয়া কাহিনি? কলকাতাও কি নিষিদ্ধ যৌনতায় মজেছে? কী বলছে সমীক্ষা?

চার বছর আগে নিয়েলসন দেশ জুড়ে একটি সেক্স সার্ভে করেছিল। তাঁদের দাবি ছিল, সমীক্ষায় উঠে আসা ভারতের ‘সেক্স সিক্রেট’ দেখলে চমকে যাবে গোটা দুনিয়া। আর সেখানেই ওয়াইফ সোয়াপিংয়ের মানদণ্ডে প্রথমে উঠে এসেছে আসানসোলের নাম।

Advertisement

ঠিকই পড়ছেন, কলকাতা থেকে সামান্য দূরত্বের এই আধা শহর বউ বদলকে প্রায় শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। ওষুধের দোকানের মালিক থেকে মাঝারি শিল্পপতি অনেকেই বেশ সাবলীল ভাবে কথাও বলেছিলেন এ নিয়ে। কেরালার কোট্টায়াম ছিল দ্বিতীয় স্থানে।

নিয়েলসনের টেনথ অ্যানুয়াল সেক্স সার্ভের হিসেব বলছে, ওয়াইফ সোয়াপিংয়ের মতো যে কোনও রকম নিষিদ্ধ যৌনতায় এগিয়ে চারটি মেট্রো শহর— নয়াদিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই এবং কলকাতা। আর এই শহর ছাড়াও নিষিদ্ধ যৌনতায় এগিয়ে কোটা, মোরাদাবাদ, কোলাপুর, সালেম, কোট্টায়াম, গুন্টুর, আসানসোল, আইজল এবং বালেশ্বর।

এক নজরে সমীক্ষা

১) মধ্যপ্রদেশের র‌্যাটলামে পার্টনারকে পোশাকহীন অবস্থায় দেখা মানুষের কাছে চূড়ান্ত অবসেশন।

২) কোট্টায়ামের ৯ শতাংশ মানুষ যৌন মিলনের সময় উত্তেজনা বাড়াতে যৌন বলবর্ধক ওষুধ ব্যবহার করেন।

৩) কোটার ৫৮ শতাংশ মানুষ শারীরিক মিলনের পর পার্টনারের আবেগকে প্রতারিত করে।

৪) ভারতে ওয়ান নাইট স্ট্যান্ডসের রাজধানী গুন্টুর।

৫) পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে ওয়াইফ সোয়াপিংয়ের ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে।

৬) র‌্যাটলামের ১৪ শতাংশ মানুষ হোমোসেক্সুয়াল। অনেকে আবার নিজের সন্তানের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।

কিন্তু ওয়াইফ সোয়াইপিংয়ের প্রতি কেন আকৃষ্ট হন মানুষ? মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘সাধারণত দীর্ঘ দাম্পত্যের পথ হাঁটতে গিয়ে অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা অপরিচিত নয়। কিন্তু সে ক্ষেত্রে যেটি উল্লেখযোগ্য তা হল, দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সহমত এবং সম্মতি। তার সামাজিক, মানসিক পরিণতি এবং জটিলতা অবশ্যই অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু সেখানে যৌন নির্যাতনের ছবি বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে না।’’

ফিল্মি দুনিয়াতেও কখনও কখনও ওয়াইফ সোয়াইপিং মূল বিষয় হয়েছে। ২০০৪-এ ‘ওয়াইফ সোয়াইপিং’ নামের একটি শো প্রথম টেলিকাস্ট হয় মার্কিন এবিসি চ্যানেলে। বছরে মাত্র এক বার মাস তিনেকের জন্য দেখানো হয় শো-টি। শুরু থেকেই তুমুল জনপ্রিয় শো-টির জন্য অপেক্ষায় থাকেন দর্শকরা। এ বছর এখনও টেলিকাস্ট হয়নি। আবার বলিউডে ‘আজনবি’ ছবিতে এক রাতের বউ বদলের ঘটনা নিশ্চয়ই মনে করতে পারবেন সিনে-পাঠক। বিশেষজ্ঞদের মতে, দর্শকরা যার সঙ্গে রিলেট করতে পারেন তার জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। ফলে ওয়াইফ সোয়াইপিং সত্যিই যে এখন বাস্তব ঘটনা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

আরও পড়ুন

ওয়াইফ সোয়াপিং কী? কী-ই বা এর শর্ত

কমিটেড সম্পর্কগুলোর উপর প্রভাব ফেলে ওয়াইফ সোয়াপিং

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement