ওহ মাই গড! এককথায় ‘ওএমজি’। আকছার এই শব্দের ব্যবহার দেখে থাকি আমরা। জেন ওয়াইয়ের মুখেই এই শব্দের বেশি রমরমা। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আড্ডার ঠেক, অবাক হওয়ার মতো কিছু হলেই চোখ গোলগোল, আর মুখে ‘ওএমজি’!
কী ভাবছেন, এই শব্দবন্ধ আধুনিক প্রজন্মের হাত ধরেহালে এসেছে? মোটেই না। বরং এ শব্দের ইতিহাস ও বয়স জানলে চমকে যেতে পারেন।
ছোট্ট এই শব্দবন্ধ কোত্থেকে আমদানি হয়েছে, কী-ই বা তার ইতিহাস তা জানার আগে, দেখে নিই এর বয়স। ২০১৮-তে ১০১ বছর পূর্ণ করে ফেলল ‘ওহ মাই গ়়ড’-এর শর্ট ফর্ম ‘ওএমজি’।
ফেসবুক আসার পর এই শর্ট ফর্মের এতই জনপ্রিয়তা বাড়ে যে, ‘ওএমজি’ লেখা জিফ ইমেজ ও স্টিকারও চলে আসে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোয়। শুধু ওএমজি-ই নয়, এলওএল (লোল), এএসএপি (অ্যাজ সুন অ্যাজ পসিবল) ইত্যাদি অ্যাব্রিভিয়েশন নিয়েও মজাদার স্টিকার তৈরি হয়।
এই শব্দ এতটাই প্রচলিত হয়ে ওঠে যে, ২০১২ সালে এই অ্যাব্রিভেয়েশনকে ব্যবহার করে বলিউডে একটি ছবির নাম রাখা হয়। অক্ষয় কুমার, পরেশ রাওয়াল, মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত ‘ওএমজি’ বেশ জনপ্রিয়তাও পায়।
তবে এ শব্দের আমদানি বহু প্রাচীন। এই শব্দের জনক ব্রিটিশ ফার্স্ট সি লড লর্ড ফিশার। ১৯১৭ সালে৯ সেপ্টেম্বর উইন্সটন চার্চিলকে একটি চিঠি লেখেন তিনি। সেখানেই এই শব্দবন্ধের প্রথম ব্যবহার করেন তিনি। চার্চিলের যাতে বুঝতে অসুবিধা না হয়, তাই ওএমজি-র পুরো কথাও লিখে দেন চিঠিতে।
তবে তখনই এই শব্দের ব্যবহার এত জনপ্রিয় হয়নি। বরং হাল আমলে সোশ্যাল সাইটের রমরমা ও এসএমএস ল্যাঙ্গুয়েজের জমানায় এই ওএমজি-র ব্যবহার এত বেড়েছে। কেবল ওএমজি-ই নয়, লোল (এলওএল)-এর ব্যবহারও আধুনিক প্রজন্মের হাত ধরে আসেনি।
আশির দশকের শুরুর দিকে কানাডার ক্যালগারিতে ওয়ায়নে পিয়ারসন নামের এক ছাত্র তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলার সময় এই শব্দ প্রথম ব্যবহার করে। এখনও বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় অট্টহাসি বোঝাতে এই শব্দ প্রায়শই ব্যবহার করে তরুণ প্রজন্ম।