প্রতীকী ছবি।
বাঙালির ‘বারো মাসে তেরো পার্বণ’ লেগেই থাকে। এর সঙ্গে চলতে থাকে বছর জুড়ে বিভিন্ন উৎসবের দোহাই দিয়ে লাগামছাড়া খাওয়াদাওয়া। মাঝে মধ্যে ভাল-মন্দ খাওয়াদাওয়া খারাপ নয়, কিন্তু যদি সেটাই রোজকার খাদ্যতালিকার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে যায়, তা হলে তার ছাপ শরীরের উপর পড়া অত্যন্ত স্বাভাবিক।
দীপাবলি আসতে আর বেশি দিন বাকি নেই। অতিমারির প্রকোপ কমার এবং বহু দিন পর বাইরে বেরোনোর আনন্দের সংমিশ্রণে উত্সবের মরসুম এ বার যেন বেশিই এলাহি ভাবে উপভোগ করছেন সকলে। তার জেরে পুজোর সময় থেকে বিভিন্ন রকম খাওয়াদাওয়া হয়েই চলেছে। এর ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছে।
বাঙালির উত্সবের দিনে মন মাতানো খাওয়ার বন্দোবস্ত থাকবে না, এ তো কার্যত অসম্ভব। কিন্তু স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত হয়ে উৎসবের আনন্দ থেকে তো বঞ্চিত থাকা যায় না। তাই সুস্থ থাকার কিছু সহজ উপায় জেনে রাখুন।
প্রতীকী ছবি।
দুধের মিষ্টি খান
উৎসবের দিন বিভিন্ন রকম মিষ্টি খাওয়া হয়েই থাকে। কিন্তু এত বেশি মাত্রায় মিষ্টি খাওয়া কখনওই শরীরের জন্য ভাল নয়। তাই মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছাকে তৃপ্ত করার জন্য ছানার মিষ্টির বদলে মিষ্টি দই, পায়েস, ক্ষীর বানিয়ে নিতেই পারেন বাড়িতে। এতে উত্সবের আমেজেও কোনও ঘাটতি পড়বে না, আর আপনার স্বাস্থ্য নিয়েও চিন্তা থাকবে না।
চিনির ব্যবহার কম করুন
রান্নায় অঢেল চিনির ব্যবহার হয় উৎসবের সময়ে। খেতে ভাল লাগলেও বেশি মাত্রায় চিনির ব্যবহার শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। মধু, গুড়, বা খেজুর-জাতীয় ড্রাই ফ্রুট চিনির বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।
পছন্দের খাবার হলেও পরিমাণের দিকে নজর রাখুন
অনেক সময়ে প্রিয় খাবার দেখলে না করা যায় না। জিলিপি, গুলাব জামুন, মালপোয়া জাতীয় মিষ্টির প্রতি আসক্তি অনেকেরই থাকে। কিন্তু আবার এই সব পদে ফ্যাটের পরিমাণও থাকে অনেক বেশি। এ রকম অবস্থায় চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণ রাখার, যাতে এই খাবারগুলি বেশি খাওয়া না হয়ে যায়।
পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যালাড রাখুন ডায়েটে
আপনার ডায়েটে বিভিন্ন সব্জি বা ফল রাখতে পারেন। উৎসবের সময়ে এলাহি খাওয়াদাওয়ার মধ্যে স্যালাড রাখলে তা শরীর ঠিক রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাবারে বেশি ফাইবার থাকলে তা হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।
কম ক্যালরির খাবার খান
সন্ধের খাওয়ার মধ্যে এমন পদ রাখুন যা ক্যালরির বিচারে হাল্কা হলেও খেতে ভাল আর পেটও অনেক ক্ষণ ভরে থাকবে। বাড়িতে সহজেই বানিয়ে নিতে পারেন মিল্কশেক, ফালুদা, বা পিনা কোলাডার মতো সুস্বাদু পদ।