ময়ূর গাছ বা পিকক প্ল্যান্ট। এমন বাহারি পাতার গাছ অফিস ডেস্কে মানাবে ভাল। ছবি: ফ্রিপিক।
সকালে অফিস যাওয়া। ফিরতে ফিরতে রাত। বেসরকারি অফিসকর্মীদের অনেকেরই দিনের বেশির ভাগ সময়টা কেটে যায় ছোট্ট কিউবিকলে বা নিজের ডেস্কে। প্রকৃতির সঙ্গে সান্নিধ্যের সুযোগ কই?
তাই নিজের ডেস্কটি সাজিয়ে তুলতে পারেন রকমারি গাছে। সবুজের সান্নিধ্যে মন ভাল লাগবে, আবার কাজের জায়গাটিও সেজে উঠবে। বেশি যত্নআত্তি ছাড়া দিব্যি বেঁচে এমন কোন গাছ রাখবেন সেখানে?
পেপারোমিয়া: কোনওটির পাতা ঘন সবুজ, কোনওটিতে আবার তরমুজের মতো সাদা লম্বাটে দাগ। কোনওটিতে সবুজ, সাদা পাতার ধার বরাবর গোলাপির ছোঁয়া। বিভিন্ন ধরনের পেপারোমিয়া গাছ হয়। বৈচিত্র থাকে পাতায়। অল্প যত্নআত্তিতে বেড়ে ওঠা গাছটি অফিসে কাজের টেবিলটির শোভা এক লহমায় বাড়িয়ে দিতে পারে।
সিঙ্গোনিয়াম: গোলাপি পাতাবাহার গাছটি দেখতে খুবই সুন্দর। ভি আকৃতির এই গাছটি অন্দরসজ্জায় ব্যবহার হয়। অল্প আলো-হাওয়াতেই তরতরিয়ে বেড়ে উঠতে পারে এটি। ১৫-২৬ ডিগ্রি সেন্টগ্রেড তাপমাত্রা গাছটির জন্য ভাল। সপ্তাহে দু’বার জল দিলেই চলে।
পিকক প্ল্যান্ট: বড় বড় পাতার গাছটি বেশ নজরকাড়া। পিকক, অর্থাৎ ময়ূরের পেখম যেমন সুদৃশ্য হয়, গাছের পাতাটিও খানিক তেমন। সবুজ এবং হালকা হলুদের মিশ্রণে এই পাতা দেখলে মনে হবে কেউ যেন কারুকাজ করেছে। অফিসের টেবিলে এমন গাছ রাখলে, নজর পড়বে সকলেরই। এই গাছও স্বল্প সূর্যালোকে দিব্যি মানিয়ে নিতে পারে। জলেরও বিশেষ দরকার হয় না।