নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
দেবীর আগমন নিয়ে উৎসাহ তো সব বাঙালির মনেই থাকে। কিন্তু সেই সকলের মহালয়া সমান যায় না। কারও কারও দেবীপক্ষ শুরু হয় পরবাসে। কলকাতা থেকে অনেক দূরের সে সব দেশে শরতের গন্ধ এক রকম হয় না। তবে নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে এ বার তেমনই হল। লন্ডনে পৌঁছল কলকাতার পুজোর আমেজ।
লন্ডনের নেহরু সেন্টারে মহালয়ার অনুষ্ঠানে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
বিলেতের ছাত্রীদের সঙ্গে শিল্পী ডোনা। ছবি: সংগৃহীত।
কলকাতা থেকে লন্ডন উড়ে গিয়েছেন নৃত্যশিল্পী ডোনা। সে শহরের বাঙালি বাসিন্দাদের নিয়ে লন্ডনের নেহরু সেন্টারে আয়োজন করেছিলেন মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠান। গত কয়েক দিন ধরে লন্ডনেই হয়েছে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। সেন্টারের অধিকর্তা অমিশ ত্রিপাঠির উদ্যোগে সেখানে হয় নাচের কর্মশালা। মহালয়ার অনুষ্ঠানের মঞ্চে নাচ পরিবেশন করার জন্য সকলকে প্রস্তুত করেন ডোনা। শনিবার, সেখানকার ছাত্রীদের নিয়েই করেন আগমনীর অনুষ্ঠান। রবিবার লন্ডন থেকে আন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন শিল্পী। তিনি বলেন, ‘‘আমার কয়েক জন ছাত্রী সঙ্গে এসেছেন কলকাতা থেকে। তবে মহালয়ার অনুষ্ঠানে মূলত অংশ নিয়েছেন এখানকার ছাত্রীরাই। তার জন্য বেশ কয়েক দিন ধরে চলেছে প্রস্তুতি।’’ ডোনা জানান, নাচ আর সাজে বাঙালি আবহ তৈরি হয়েছিল মহালয়ার অনুষ্ঠানে। সকলেই খুব আনন্দ পেয়েছেন দেখে খুশি শিল্পীও। লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসের উদ্যোগেই হয়েছে এই অনুষ্ঠান। সেখানে বর্তমান রাষ্ট্রদূত ভি কে ডোরাইস্বামীর স্ত্রী কলকাতার মেয়ে। ঢাকের আওয়াজ, সিঁদুরখেলা, বাঙালি মিষ্টি দেখে আনন্দ পেয়েছেন বলে জানালেন শিল্পী।
অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন লন্ডনের বাসিন্দা বহু বাঙালি। ছবি: সংগৃহীত।
রবিবার সন্ধ্যায় সে দেশে আরও একটি অনুষ্ঠান আছে ডোনার। অক্সফোর্ড বিজ়নেস সেন্টারে চলছে হিন্দি সাহিত্য উৎসব। সেখানেই অনুষ্ঠান করবেন নৃত্যশিল্পী। তবে বিলেতে পুজো কাটাবেন না ডোনা। পুজো শুরুর আগেই ঘরে ফিরবেন তিনি।