বাড়ি বসে নিজেই করতে পারবেন কোভিড পরীক্ষা।
আগামী সপ্তাহেই বাজারে আসতে চলেছে ‘কোভিসেল্ফ টিএম প্যাথোক্যাচ’ নামের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টিং (র্যাট) কিট। মহারাষ্ট্রের পুণের সংস্থা মাই ল্যাব ডিসকভারি সলিউশন লিমিটেডের তৈরি নয়া কিটের সাহায্যে মাত্র ২ মিনিটে ঘরে বসেই নাকি করা যাবে কোভিড পরীক্ষা। রিপোর্টও পেয়ে যাবেন ১৫ মিনিটেই। কিট কেনার আগে কিছু প্রশ্নের উত্তর জেনে রাখুন।
কারা ব্যবহার করতে পারেন এই কিট?
যাঁদের কোভিডের উপসর্গ রয়েছে, একমাত্র তাঁদেরই এই র্যাট কিট ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে। কিংবা যাঁদের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ (কোনও ল্যাব থেকে পরীক্ষা করানো পর), তাঁদের সংস্পর্শে রয়েছেন যাঁরা, তাঁরাও এই কিট ব্যবহার করতে পারেন। কোনও উপসর্গ না থাকলে বিনা কারণে এই কিট ব্যবহার করবেন না।
এই কিট দিয়ে পরীক্ষা করার আগে কী ভাবে প্রস্তুত হবেন?
একটা টেবিলের উপরটা প্রথমে স্যানিটাইজ করে নিন। ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে শুকিয়ে নিন। প্যাকেট খুলে ভিতরের সব জিনিস টেবিলের উপরে রাখুন। টেস্ট করার আগে ‘মাইল্যাব কোভিসেল্ফ’ অ্যাপ ডাউনলোড করে যাবতীয় তথ্য লিখে রাখুন। তারপর নিজের লালারস সংগ্রহ করুন নির্দেশ অনুযায়ী।
অ্যাপ কেন ব্যবহার করতে হবে?
টেস্ট করার পর টিউবের একটা ছবি মুঠো ফোনে তুলে অ্যাপ’এ সেভ করে রাখতে হবে। আপনার সব তথ্য একটা নিরাপদ সার্ভারে জমা থাকবে। যা আইসিএমআর’এর টেস্ট করার পর্টালের সঙ্গে যুক্ত।
কী করে বুঝবেন কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ না নেগেটিভ?
যদি সি আর টি, দু’টো লাইনই আসে, তা হলে বুঝতে হবে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিজেন আপনার শরীরে রয়েছে এবং আপনার রিপোর্ট পজিটিভ। যদি শুধু সি লাইন আসে, তা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ।
পরীক্ষা করার পর ফল পজিটিভ এলে কী করণীয়?
রিপোর্ট পজিটিভ এলে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন আপনি করোনায় আক্রান্ত। দ্বিতীয়বার টেস্ট করার প্রয়োজন নেই। কোভিড-নিয়ম মেনে আপনার নিভৃতবাসে থাকা উচিত এবং চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা উচিত।
উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও নেগেটিভ এলে কী করণীয়?
উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও যদি র্যাট টেস্টে নেগেটিভ আসে তা হলে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। ভাইরাল লোড কম থাকলে র্যাট টেস্ট কার্যকরি না-ও হতে পারে। আরটি-পিসিআর রিপোর্ট পাওয়ার আগেই কোভিড-নিময় মেনে নিভৃতবাসে থাকা শুরু করতে হবে।
কিট ফেলার সঠিক পদ্ধতি কী?
প্যাকেটের গায়ে লেখা নির্দেশ অনুযায়ী কিট ফেলুন। আপনার এলাকায় বায়োহ্যাজার্ড ওয়েস্ট ফেলার যা নিয়ম সেটা মেনে চলুন। কিট খোলার পর একটা টেস্ট কার্ড যদি অব্যবহৃত অবস্থায় ১০ মিনিট রাখা থাকে, তা হলে সেটাও ফেলে দিতে হবে।