COVID 19

Covid Era: ৩ বেলা পেট ভরে খাওয়া নয়, বার বার হালকা খাওয়া, করোনা কালে বদলেছে ভারতের পাত-পুরাণ

কোনও কৃত্রিম রং, সংরক্ষণ করার রাসায়নিক ছাড়া যে হালকা খাবার পাওয়া যায়, তাকেই বলা হচ্ছে ‘পরিচ্ছন্ন স্ন্যাকস’ বা ‘ক্লিন স্ন্যাকস’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২১ ১২:১১
Share:

করোনাকালে বদলেছে ভারতীয়দের খাদ্যাভাস। ছবি: সংগৃহীত

গত বছর করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বড় সংখ্যক ভারতীয়ের খাদ্যাভাসে বদল এসেছে। দিনে ৩ বেলা ৩ বার ভরপেট খাওয়ার চেয়ে এখন অনেক বেশি পছন্দের— বার বার খাওয়া। সেটাও ভরপেট নয়, হালকা খাবার। যাকে বলে ‘স্ন্যাকস’। আর সেটাও যেমন-তেমন নয়, ‘পরিচ্ছন্ন স্ন্যাকস’ বা ‘ক্লিন স্ন্যাকস’।

Advertisement

ভারত এবং তাইল্যান্ডের এক সংস্থা হালে ভারতের খাবারের বাজার নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, ২০২০ থেকে খাবার নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে ভারতীয়দের মধ্যে। ভরপেট খাবার খাওয়ার চাইতে ‘ক্লিন স্ন্যাকস’-এ ভরসা বেড়েছে নতুন প্রজন্মের। কী এই ‘ক্লিন স্ন্যাকস’? কোনও কৃত্রিম রং, সংরক্ষণ করার রাসায়নিক ছাড়া যে হালকা খাবার পাওয়া যায়, তাকেই বলা হচ্ছে ‘পরিচ্ছন্ন স্ন্যাকস’ বা ‘ক্লিন স্ন্যাকস’।

১৮ বছরের বেশি বয়সের ৩০০০ জন ভারতীয়কে নিয়ে এই সমীক্ষাটি চালানো হয়েছে। তা থেকে যা যা উঠে এসেছে, সেগুলি এই রকম—

Advertisement

* গত বছর ‘পরিচ্ছন্ন স্ন্যাকস’ বা ‘ক্লিন স্ন্যাকস’ খেতেন: ১০-১২ শতাংশ

* চলতি বছরে ‘পরিচ্ছন্ন স্ন্যাকস’ বা ‘ক্লিন স্ন্যাকস’ খান: ২০ শতাংশ

* ৩ বার ভরপেট খাওয়ার অভ্যাস বদলাতে আগ্রহী: ৬৪ শতাংশ

* দিনে ৩ বারের বেশি ‘পরিচ্ছন্ন স্ন্যাকস’ বা ‘ক্লিন স্ন্যাকস’ খেতে আগ্রহী: ৪৭ শতাংশ

* রাতেও ‘পরিচ্ছন্ন স্ন্যাকস’ বা ‘ক্লিন স্ন্যাকস’ খেতে আগ্রহী: ২৭ শতাংশ

* প্যাকেটের খাবার কেনার সময় তার গুণাগুণ খুঁটিয়ে দেখে নিচ্ছেন: ৮০ শতাংশ

সব মিলিয়ে খাবারের অভ্যাস বদলাতে ভারতীয়রা যা বিশেষ ভাবে আগ্রহী, স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নেওয়ার বিষয়টিকে যে তাঁরা আলাদা করে গুরুত্ব দিচ্ছেন, তা উঠে এসেছে এই সমীক্ষায়।

সমীক্ষাকারী সংস্থাটির অন্যতম প্রধান হৃষিকেশ আরবকর মুম্বইয়ের এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ভারতীয়দের খাদ্যাভ্যাসে বেশ কিছুটা বদল এসেছে। এখন ‘কৃত্রিম রং’, ‘গ্লুটেন’, ‘সংরক্ষণকারী রাসায়নিক বা প্রিজারভেটিভ’— এই শব্দগুলি সম্পর্কে ভারতীয়রা অনেক বেশি সচেতন। এবং নিজেদের খাবারে এগুলি চাইছেন না তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement