পুজোর বাজারে ভিড়। কারও মুখে মাস্ক আছে, কারও নেই। ছবি:পিটিআই।
সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে রাজ্যে প্রতিদিনের নতুন করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে। কলকাতায় নতুন করে দৈনিক সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই। এই উদ্বেগের পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, সামনে কিন্তু আরও বড় বিপদের গন্ধ পাচ্ছে রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশ। তার কারণ, আসন্ন উৎসবের মরসুম এবং তাকে ঘিরে কেনাকাটার ভিড়। আতঙ্ক যে অমূলক নয়, তার জলজ্যান্ত প্রমাণ হিসাবে তাঁরা দেখাচ্ছেন কেরলের বর্তমান ছবি।
কেরলে ওনাম উৎসবের পরে পরিস্থিতি সঙ্কটজনক হয়ে উঠেছে। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে মহারাষ্ট্রকে পিছনে ঠেলে আক্রান্তের তালিকায় রবিবারই শীর্ষে উঠে এল কেরল। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৭৫৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সেপ্টেম্বরের শেষে, ওনামের আগে এই সংখ্যাটাই ছিল দেড় থেকে দু’হাজারের মতো। চিকিত্সকদের একাংশের সতর্কবাণী, এখনই সাবধান না হলে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতিও কেরলের মতো হতে সময় লাগবে না। যদিও এ নিয়ে ভিন্ন একটা মতও রয়েছে। তাঁদের মতে, উৎসব এই সংক্রমণ বৃদ্ধির মূল ‘ফ্যাক্টর’ কোনও ভাবেই নয়। আসল কারণ লুকিয়ে রয়েছে দৈনন্দিন কোভিড পরীক্ষার সংখ্যার মধ্যে। কেরলে এতদিন কম পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষা বাড়তেই সংক্রমণ ধরা পড়ছে বেশি বেশি করে। একই সঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে জনসংখ্যার নিরিখে কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা কেরলের তিন ভাগের এক ভাগ। পরীক্ষা বাড়লে, উৎসব-ভিড় ইত্যাদি ব্যতিরেকে এখানেও হু হু বাড়বে সংক্রমণের সংখ্যা।
কিন্তু একটা বিষয়ে সকলেই একমত। দূরত্ববিধি ভাঙলে, সচেতন না থাকলে এই বিপদ যে আরও বাড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। পুজোর দিনগুলোয় কী হবে সেই দুশ্চিন্তা তো থাকছেই, চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে পুজো বাজারও। বাজার-হাটে গাদাগাদি ভিড়। কারও থুতনিতে মাস্ক, কেউ বা গরম লাগছে বলে মাস্ক খুলে ফেলেছেন। শপিং মলে গিয়ে পুজোর নতুন জামাকাপড়ের ট্রায়ালও দিচ্ছেন কেউ কেউ। সামাজিক দূরত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই শ্যামবাজার থেকে নিউ মার্কেট-গড়িয়াহাটে কেনাকাটা চলছে। কয়েক দিন আগেই মহালয়াতে বাবুঘাটে তর্পণের উদ্দেশে জড়ো হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ, সে ছবিও আমরা দেখেছি।
আরও পড়ুন:পুজোর পরে সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা, কোভিড-শয্যা বাড়ানোর নির্দেশ
মাত্র ১০ দিন পরই ষষ্ঠী। দেবীর বোধন। রাজ্য প্রশাসনের তরফে দুর্গাপুজো ঘিরে জারি করা হয়েছে একাধিক নির্দেশিকা। কিন্তু রাস্তাঘাট-দোকান বাজারে ভিড় বেড়েই চলেছে। পুজোর সময় এই ভিড়ই রাজ্যের জন্য মারণ বার্তা বয়ে আনতে পারে, বলছে রাজ্যের চিকিৎসক মহল। আয়োজকরা কী ভাবছেন এই নিয়ে, প্রশাসনের তরফে কী ভাবা হচ্ছে?
শুক্রবারই কলকাতা পুলিশের তরফে পুজো উদ্যোক্তাদের জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে খোলামেলা মণ্ডপের ব্যবস্থা, মণ্ডপে দর্শনার্থীদের জন্য অতিরিক্ত মাস্ক-স্যানিটাইজার রাখা, অঞ্জলি ও সিঁদুর খেলার অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে। পুজো উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা মেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। মণ্ডপে প্রবেশ ও বেরনোর পথে বেশি ভিড় হতে পারে এমন জায়গায় শারীরিক দূরত্ব রাখার জন্য বৃত্তাকার দাগ বা অন্য পন্থা ব্যবহারের কথাও বলেছে পুলিশ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং পুজো পরিক্রমার বিচার যথাসম্ভব ভার্চুয়াল মাধ্যমে করার কথাও বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:ভেবে দেখুন, পুজোর পরে হাসপাতালে শয্যা থাকবে না
কিন্তু পুজোর সময় যে জনস্রোত শহরের বুকে নেমে আসে তাতে কি শুধুমাত্র বৃত্তাকার দাগ কেটে কিংবা প্রবেশ-প্রস্থানের পথ আলাদা রেখে বা মণ্ডপখোলা রেখে করোনা সংক্রমণকে রোধ করা যাবে? ওনাম উৎসবের সময় নির্দিষ্ট বিধি মেনে চলেছিল কেরল প্রশাসনও। তাতেও রোখা যায়নি সংক্রমণ।
এ থেকেই স্পষ্ট উৎসবের কারণে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর চিত্রটা কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে কেরলে। কিন্তু এরপরেও কি রাজ্য প্রশাসন সতর্ক হবে না? শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোরে পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের সমন্বয় বৈঠক ছিল। সেখানে নিউ নর্মাল দুর্গাপুজো প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয়। কলকাতা পুলিশের যু্গ্ম কমিশনার(সদর) শুভঙ্কর সিংহ সরকার বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকা যাতে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা হয়, পুলিশ সে দিকে কড়া নজর রাখছে। তৃতীয়া থেকেই মোতায়েন থাকছে পুলিশ বাহিনী। মণ্ডপ যাতে খোলামেলা হয়, তাও দেখা হচ্ছে। প্রচুর পরিমাণে স্বেচ্ছাসেবকের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে উদ্যোক্তাদের। অতিমারি পরিস্থিতিতে মাস্ক-স্যানিটাইজারের ব্যবহার আবশ্যিক। তা মেনে চলা হচ্ছে কি না, পুলিশ খতিয়ে দেখবে। মণ্ডপ থেকে সোজা ঘাটে গিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে হবে। ২৬ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত প্রতিমা নিরঞ্জনের দিন ধার্য করা হয়েছে।’’
উদ্যোক্তারা কী ভাবছেন, কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন
‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’-এর সাধারণ সম্পাদক শ্বাশ্বত বসুর বলেন, ‘‘৮ থেকে ১০ ফুটের প্রবেশদ্বার থাকলে তা দু থেকে তিন ভাগে ভাগ করা হবে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক রাখা হচ্ছে প্রতিটি মণ্ডপে প্রবেশের ক্ষেত্রেই। থার্মাল স্ক্রিনিংও হবে। এক সঙ্গে ২৫ জনের বেশি মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না। বেরনোর জায়গার প্রস্থ যাতে বাড়ানো যায় সেটিও দেখা হচ্ছে, বাড়ানো হবে গেটের সংখ্যাও। প্রশাসনের নির্দেশিকা মেনেই মণ্ডপ রাখা হবে খোলামেলা।’’
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রকে ছাপিয়ে দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে কেরল, দেশে আক্রান্ত সাড়ে ৭০ লক্ষেরও বেশি
কাশী বোস লেন উত্তর কলকাতার অন্যতম বিখ্যাত একটি পূজা কমিটি। সেখানকার সাধারণ সম্পাদক সোমেন দত্ত জানান, সামাজিক দূরত্ব বিধি মানা এবং মাস্ক পরা দুটি বিষয়ই মাথায় রাখা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘পুজোর অনেকটাই ভার্চুয়াল করা হয়েছে। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ওয়েবসাইটথেকেও প্রতিমা দর্শন করা যাবে প্রতি মুহূর্তে। রয়েছে অনলাইন অঞ্জলি। প্রণামীও নেওয়া হচ্ছে অনলাইনেই। বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে যাবে ড্রাই ফ্রুটও। যতটা পারা যায় বাড়ি থেকেই উৎসবের আনন্দ উপভোগ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পরবর্তী দুর্গাপুজোগুলিতে তাহলে সবাই মিলে সুস্থ থেকে আনন্দ করা যাবে।’’
অতিমারি পরিস্থিতিতেও ওনাম উৎসব ছিল ভিড়ে ঠাসা। মাস্ক দেখা যায়নি বেশিরভাগের মুখেই। ফাইল ছবি।
টালা প্রত্যয়ের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বেশ্বর পাণ্ডে এ প্রসঙ্গে জানান, মেট্রোর গেটের মতো গেট বসানো হচ্ছে মণ্ডপে প্রবেশের পথেই। অতিবেগুনি রশ্মি স্যানিটাইজেশন বসছে গেটে। ক্রাউড ডিটেকশনের যন্ত্রও থাকছে যা লোক বেশি হলেই সতর্ক করবে কমিটিকে।
উৎসব নয়, পুজো হোক। পুজোর সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত রাজ্যের চিকিৎসকরা। কী বলছেন তাঁরা?
রাজ্যে পজিটিভিটির হার ইতিমধ্যেই চিন্তায় ফেলেছেচিকিৎসক মহলকে। কার্ডিয়োথোরাসিক সার্জন কুণাল সরকারের কথায়, ‘‘আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও পরীক্ষার সংখ্যা কম হওয়ায় পজিটিভিটি হারে এ রাজ্য ৯ শতাংশ ছুঁয়ে ফেলতে চলেছে, আগে যেটা ৫ শতাংশ ছিল। এটা অত্যন্ত আশঙ্কার। পরীক্ষার সংখ্যাও বৃদ্ধি করতে হবে। এই পরিসংখ্যানটা ২ শতাংশে নামলে তবে খানিক স্বস্তি মিলতে পারে।
নেই মাস্ক, মানা হয়নি দূরত্ব-বিধিও। মহালয়ায়, বাবুঘাটে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
কুণাল জানান, আগামিকাল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি বৈঠক রয়েছে করোনা মোকাবিলা এবং দুর্গাপুজো সংক্রান্ত। হাসপাতালে২৫ শতাংশ শয্যা বৃদ্ধির কথা বলা হতে পারে সেখানে। তবে একটি দুর্গা মণ্ডপে ১০০ থেকে ২০০ জন লোক গেলেও সেই শয্যা ভর্তি হতে আধ ঘণ্টাও লাগার কথা নয়। মেডিসিনের চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অত্যন্ত সঙ্কটজনক রোগীকেও বেসরকারি হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে শয্যা পেতে দুই থেকে তিন দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ওনামের পর কী হয়েছে, আমরা দেখতেই পাচ্ছি। সেখানে দুর্গাপুজোতে লোক ঠাকুর দেখতে বেরলে তা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। এত ভিড় বৃত্তাকার দাগ কেটে বা স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে কীভাবে সামলানো সম্ভব? তাঁদেরও তো প্রাণের ভয় রয়েছে।’’
চিকিৎসক কৌশিক লাহিড়ি বলেন, ‘‘ওনামের থেকে শিক্ষা নিতে হবে আমাদের। আমরা শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়েছি। হাসপাতালে শয্যা সংখ্যাও সীমিত। চিকিৎসকদের পরিশ্রম করারও ক্ষমতা কমছে। কেউ কোনও ছুটি পাননি। এত বড় উৎসবের পরে সংক্রমণের সুনামি এলে তা সামলানো যাবে না। কেরলে উৎসবের পরে বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে সংক্রমণের পরিমাণ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১১০০০ পেরিয়ে গিয়েছেসে রাজ্যে।’’ এদিকে স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আমাদের রাজ্যে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন তিন হাজার ৫৯১ জন। দৈনিক পরিসংখ্যানের নিরিখে যা এখনও সর্বোচ্চ। ফলে ভয়াবহ পরিস্থিতি আসতে চলেছে। জনস্রোতের মধ্যে কেউ যাবেন না। চিকিৎসক হিসেবে তিনি শঙ্কিত।
আরও পড়ুন: বাড়িতে বাচ্চা রয়েছে, পুজোয় বেরনোর ক্ষেত্রে এই সব মানতেই হবে
জনপ্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মনোজমুরলী নায়ার জন্মসূত্রে কেরলের মানুষ। তিনি বলেন, ‘‘মানুষ আসলে সহানুভূতিও হারিয়ে ফেলেছে। এই বছরে এত মানুষ তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে। তার পরেও পুজো ঘিরে আড়ম্বরের কোনও অর্থই হয় না।’’ মনোজ জানান, তাঁর এক আত্মীয় কেরলে থাকেন। ওনাম উৎসবের পর সংক্রমণের তোড়়ে সে রাজ্যের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। প্রশাসনের অনুরোধের সঙ্গে তাই সাধারণ মানুষের সচেতনতা এবং সহানুভূতির দিকটিও জরুরি। বলেন, ‘‘ধর্ম তো মানুষের জন্য। মানুষ বাঁচলে তবেই তো উৎসব। এই বছর ছোট করে পুজো করে সবাই সুস্থ থাকলে পরের বছর উৎসব পালন করা যাবে। নিজেও প্রিয়জনকে হারিয়েছি এই বছরে। প্রত্যেকেই নানা শোকে বিপর্যস্ত। তাই সুস্থ থাকাটাই এই মুহূর্তে একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত। উৎসবের কোনও অর্থই নেই এ বছরে।’’
আরও পড়ুন:পুজোর সময় বয়স্কদের কি বেরনো উচিত?
নাক-কান-গলা চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্তের মত, ‘‘দুর্গাপুজোয় জনস্রোত ভাবলেই আশঙ্কিত হয়ে পড়ছি। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা না কমলেও তিন হাজারের আশপাশে ছিল, স্থিতিশীলতা ছিল সংক্রমণে। দৈনিক পরীক্ষা হচ্ছিল ৪৫ হাজারের কাছাকাছি। যদিও এই মুহূর্তে তা বাড়ানো প্রয়োজন। কিন্তু মহালয়া বা বিশ্বকর্মা পুজোর সময় থেকে যে ভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, কিন্তু টেস্টের পরিমাণ সে অর্থে বাড়েনি।’’ অর্জুন জানান, ওনামের চেয়েও আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির আঁচ করছেন তাঁরা। তিনি জানান, বেসরকারি আইসিইউ, আইটিইউ, করোনা বেড কমছে ধীরে ধীরে। সব খুলে দিয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠার পরিস্থিতি নেই। দুর্গাপুজো আগামী বছরগুলিতেও ফিরে আসবে। তিনি মনে করিয়ে দেন, পুজোর সময় চিকিৎসকরা কোনও বিশ্রাম পাবেন না। পুজোয় জনসমাগম যদি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয় এবং তার মধ্যে অল্প সংখ্যক মানুষেরও যদি হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়, তা হলে সেই শয্যা কোথা থেকে আসবে? সাধারণ মানুষের এই ক্ষোভ চিকিৎসক মহলের উপরে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল, মত অর্জুনের।
অতিমারি পরিস্থিতিতেও পুজো শপিং চলছে। সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। ছবি: পিটিআই
প্রতিমা দেখতে মণ্ডপে একেবারেই নয়, টিভিই হোক ভরসা,কেরলের পরিস্থিতি দেখে শিক্ষা নিক বাংলার মানুষ, পরামর্শ জনস্বাস্থ্য চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর। বয়স্ক মানুষ ও বাচ্চাদের নিয়ে বেরনো একেবারেই ঠিক হবে না, জানান সুবর্ণ।তাই এ বছর পুজো হোক ছোট করেই, কোনও উৎসব নয়। ‘আপন মনের একটি কোণায়’ আসন পাতার কথা তো রবি ঠাকুরই বলেছেন। রাবীন্দ্রিক বাঙালি সে কথা বুঝবে তো!
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ