কন্ধরাসন। অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।
কন্ধরাসন
এই আসনের আর এক নাম সেতুবন্ধ আসন, অনেকে আবার ব্রিজ পোজ বা শোল্ডার পোজও বলেন। পিঠ বা মেরুদণ্ড পিছনে নোয়ানোর আসন এটি। পিছনে হেলে ধীরে ধীরে খাপ খাইয়ে এক সেতুর মত ভঙ্গিমার এই আসনে হয় বলেই এর এমন নাম।
কী ভাবে করব?
• ম্যাটের উপর টানটান হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা মাটিতে রাখুন। হাতের তালু মাটির দিক করে হাত পাশে রাখুন। এটি হল শুরুর অবস্থান।
• ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে কাঁধ ও পায়ে ভর দিয়ে কোমর ও পিঠ মাটি থেকে ৬–৮ ইঞ্চি উপরে তুলুন। পিঠ ধনুকের মত বেঁকে থাকবে। মাথা, ঘাড় ও কাঁধ যেন মাটিতে ঠেকে থাকে। হাত থাকবে গোড়ালির কাছে, হাতের সাহায্যে এই অবস্থান ঠিক রাখতে হবে। কয়েক সেকেন্ড শ্বাস ধরে রাখুন। এ বার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে ধীরে ধীরে প্রথম অবস্থায় ফিরে আসুন। এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হল। এই ভাবে ধীরে ধীরে এবং সতর্কতার সঙ্গে ৫–৭ বার অভ্যাস করতে হবে।
আরও পড়ুন: বাজার-দোকান করতে বেরতে হচ্ছে? মেনে চলুন এ সব
• এই আসনটি কয়েক বার অভ্যাস করার পর পিঠ-সহ শরীর কিছুটা নমনীয় হয়ে যাবে। সপ্তাহ খানেক অভ্যেস করার পর আর্চ অর্থাৎ পিঠ আরো বেশি বেঁকিয়ে ধনুকের মত করুন।
• পরের পর্যায় কন্ধরাসনের আরও উন্নত ধাপ অভ্যাস করুন। হাঁটু ও পায়ের পাতার দূরত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করুন। অর্থাৎ পিঠ আর একটু বেশি তুলতে হবে। পায়ের গোড়ালি হাত দিয়ে ধরুন।
• আরও কিছুটা বেশি সময় ব্রিজ পোজিশনে থাকুন। ১৫–৩০ সেকেন্ড
• এই অবস্থায় থাকাকালীন মাথা, কাঁধ, ঘাড়, হাত ও পায়ের সাহয্যে শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে এ ভাবে সামলান ঘর ও অফিসের কাজ, হাতে পাবেন বাড়তি সময়
কেন করব?
এই ব্রিজ অবস্থান নানা শারীরিক ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করে শরীরকে স্থিতাবস্থায় আনতে সাহায্য করে। থোরাসিক স্পাইন অর্থাৎ মেরুদণ্ডের উপর ও মাঝামাঝি অংশের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য এটি অত্যন্ত ভাল যোগ চিকিৎসা। কাঁধের অসাম্য ও কুঁজো ভাব দূর করার পাশাপাশি ঊরু ও জঙ্ঘার পেশীকে দৃঢ় করতে সাহয্য করে কন্ধরাসন। এই আসন অভ্যাস করলে কোলন বা অন্ত্র-সহ পেটের অভ্যন্তরের সব অংশ উজ্জীবিত হয় বলে হজম শক্তি বাড়ে।
এর উন্নততর ভার্সন— যখন হাত দিয়ে গোড়ালি ধরে চিবুক বুকে ঠেকান হয়, সেই অবস্থায় থাইরয়েড গ্রন্থির কোনও রকম অসুবিধা থাকলে তা দূর হয়। এই আসন অভ্যাস করলে মেয়েদের প্রজনন অঙ্গ শুধু টোনড হয় তা-ই নয়, যাঁদের মিসক্যারেজের ঝুঁকি থাকে তাঁদের এই আসনটি করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সর্বোপরি এই ব্রিজ পোজিশন অভ্যাস করলে এনার্জি বাড়ে ও সামগ্রিক ভাবে সুস্থ থাকা যায়।
সতর্কতা: যাঁদের হার্নিয়া ও ডিওডেনাল আলসার আছে তাঁরা এই আসন করবেন না।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)