রাধিকা মার্চেন্ট। ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
ধনী হলে কি তা দেখানোও জরুরি? অম্বানীদের ছোট বৌমা রাধিকা মার্চেন্ট সম্ভবত তেমন মনে করেন না। শ্বাশুড়ি মা নীতা অম্বানী যখনই জনসমক্ষে আসেন, তখনই নতুন নতুন গয়না-শাড়ি-পোশাকে নজর কাড়েন। ‘নতুন বৌ’ রাধিকা কিন্তু বিয়েবাড়িতে গেলেন ছ’বছরের পুরনো একখানি লেহঙ্গা পরে। সঙ্গে পরলেন ননদ ইশা অম্বানী এবং জা শ্লোকা মেহতার থেকে ধার করা গয়না!
ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
অম্বানীরা দেশের ধনীশ্রেষ্ঠ। তাঁদের বাড়ির বৌ-মেয়েরা বাইরে বেরোলে কী পরলেন না পরলেন, তা নিয়ে আলোচনা হবেই। সেটা তাঁরা জানেনও। তাই ইশা, শ্লোকা, নীতারা সেই বুঝেই পোশাক আশাক পরেন। প্রত্যেকেরই নিজস্ব স্টাইলিস্ট আছে। ইশা তো বহু পোশাকশিল্পীর মডেল হয়ে ফোটোশ্যুটও করেছেন। ইশাকে সাম্প্রতিক অতীতে একই পোশাকে দু’বার কোথাও দেখা গিয়েছে বলে মনে করতে পারবেন না কেউ। অন্য দিকে, নীতা প্রতিটি অনুষ্ঠানেই কখনও রত্নখচিত মহার্ঘ গয়না, কখনও শাড়ি, কখনও হাতের পার্সে খবরের এসেছেন। অম্বানীদের বড় বৌমা শ্লোকা আড়ালে থাকতেই ভালবাসেন। তবে দেওরের বিয়েতে তাঁর পোশাক-আশাক-গয়না থেকেও চোখ সরাতে পারেননি ফ্যাশনবিজ্ঞরা। সেখানে বিয়ের পরে রাধিকার প্রথম অনুষ্ঠানের পোশাক আশাক দেখে বিস্মিত তাঁরা।
২০১৮ সালে ইশার বিয়েতে একই লেহঙ্গা পরেছিলেন রাধিকা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
যে রাধিকা এবং আকাশ অম্বানীর বিয়ের খরচ আর জৌলুস দেখে চোখ কপালে উঠেছিল বিশ্ববাসীর, সেই রাধিকা বিয়ের পরের প্রথম অনুষ্ঠানে সাজগোজে জৌলুস ধরে রাখবেন বলেই ভেবেছিলেন অনেকে। কিন্তু রাধিকা সবাইকে চমকে দিয়ে পরলেন ২০১৮ সালে ইশার বিয়েতে পরা তাঁর পুরনো লেহঙ্গা। সঙ্গে গলায় বিয়ের মঙ্গলসূত্র এবং একখানি ছিমছাম হার, যেটা বছর খানেক আগে ইশা পরেছিলেন এক অনুষ্ঠানে। কানের দুলখানাও জা শ্লোকার। নিজের সাধে ওই কুন্দনের ঝুমকো দুল পরেছিলেন অম্বানীদের বড় বৌ। রাধিকা জা এবং ননদের থেকে সেই দুল এবং হার চেয়ে নিয়েছেন।
ইশার চোকার এবং শ্লোকার দুল পরেছেন রাধিকা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
ফ্যাশনবিদেরা দেখে শুনে বলছেন, পুরনো গয়না এবং পোশাকে রাধিকাকে বিন্দুমাত্র কম সুন্দরী লাগছে না। বরং ফ্যাশন মানে যে অযথা অর্থের অপচয় নয়, সেটাই হাতে কলমে বুঝিয়েছেন রাধিকা। কেউ কেউ আবার বলছেন, কথায় আছে, ‘ভাগ করলে ভালবাসা বাড়ে’। সম্ভবত ননদ আর জায়ের সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ককেই আরও বেশি জোরদার করতে চাইছেন অম্বানীদের বুদ্ধিমতী ছোট বৌমা রাধিকা।